সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টিতে নানা নির্দেশনা মেয়র তাপসের

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, টার্মিনাল সংলগ্ন সড়ক ও পার্কিং লট, সদরঘাট থেকে আহসান মঞ্জিলমুখী সড়ক, পটুয়াটুলি সড়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পথচারী সেতু (ওভার ব্রিজ) সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি সেখানে সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, মেয়র শুক্রবার এসব এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। এরপর সার্বিক দিক বিবেচনা করে তিনি সেখানে সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানাবিধ দিকনির্দেশনা দেন।
আবু নাছের বলেন, মূলত আহসান মঞ্জিল, লালকুঠি ও রূপলাল হাউজ ঘিরে সেখানকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নানামুখী উদ্যোগ এবং সমন্বিত মহাপরিকল্পনার আওতায় পোস্তগোলা থেকে বসিলা পর্যন্ত ৬ সারি সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টির যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, এটি বাস্তবায়নের আগে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সশরীরে প্রত্যক্ষ করা এবং বাস্তবভিত্তিক দিকনির্দেশনা দিতে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ওইসব এলাকা পরিদর্শনে যান।
আবু নাছের জানান, মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস টার্মিনালের সম্মুখ, টার্মিনাল থেকে ডান ও বাঁয়ের সড়কে প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রশস্ত হাঁটার পথসহ (ফুটপাত) কোথাও ৪ সারি আবার কোথাও ২ সারি সড়ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও পাটুয়াটুলি সংলগ্ন সড়ক থেকে আহসান মঞ্জিল, ইসলামপুর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়ক ও সড়কের মোড় (ইন্টারসেকশন) প্রশস্ত করে নিরবচ্ছিন্নভাবে যান চলাচল উপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপের জন্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও মেয়র সম্পত্তি কর্মকর্তাকে এ সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দখল করা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এএসএস/এসকেডি