১৪৬ স্থান দিয়ে ঝুলন্ত তার যাবে মাটির নিচে

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও ক্যাবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক খনন ক্ষতিপূরণসহ ১৪৬ স্থানে ঝুলন্ত তার মাটির নিচে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এ ১৪৬ স্থানের মধ্যে যেসব স্থান ডিএসসিসির আওতাভুক্ত সেসব সড়কে এইচডি পদ্ধতিতে রোড ক্রসিং করার জন্য সড়ক খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান জানিয়েছেন, এসব কাজ সম্পন্ন ও তদারকির জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ডিএসসিসি। ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলীকে সভাপতি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া অপর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে।
অন্যদিকে দুই সিটির করপোরেশনের চাপের কারণে এবার তার কাটার অভিযানে নিজেরাই নেমেছে আইএসপিএবি। আইএসপিএবি বলছে, সেবাদাতাদের নিয়ে ক্যাবল সিকিউরিটি টাস্ক ফোর্স (সিএসটিএফ) গঠন করা হয়েছে। এ সদস্যরা দুই সিটির শতাধিক এলাকায় কাজ শুরু করেছে।
এর আগে তারের জঞ্জাল সরাতে গত বছরের ৫ আগস্ট দক্ষিণে ও ১ অক্টোবর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তার কাটার অভিযান শুরু করে। এর প্রতিবাদে আইএসপিএবি ও কোয়াব সেবা বন্ধের ঘোষণা দেয়। পরে কর্মসূচি স্থগিত করে ১৮ অক্টোবর মেয়র তাপসের সঙ্গে বৈঠক করেন সংগঠনের নেতারা। বৈঠকে নভেম্বরের মধ্যে ঝুলন্ত তার অপসরণের প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর ডিএসসিসি নগর ভবনে আইএসপিএবি ও কোয়াবের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠক শেষে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, নভেম্বরের মধ্যেই ইন্টারনেট ও ক্যাবল টেলিভিশনের সব ঝুলন্ত তার মাটির নিচে নিয়ে যেতে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তারের যে জঞ্জালে ঢাকা শহর সয়লাব, সেই জঞ্জাল থেকে আমরা ঢাকা শহরকে মুক্ত করতে চাই। আমরা সকলেই একমত হয়েছি, আমাদের প্রাণের এই ঢাকাকে সুন্দর ঢাকা হিসেবে পরিণত করতে চাই। আমরা যৌথভাবে কাজ করলে সেটা সম্ভব, সে ঐকমত্যে আমরা উপনীত হয়েছি। তারা নিজ খরচে, নিজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে তারের সংযোগ নেবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ওপরের ঝুলন্ত তার কেটে দেবেন।
তাপস বলেন, পুরো দক্ষিণ সিটিতে তারা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। তাদের এ কাজে ডিএসসিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এ কাজে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, বিনা খরচে তাদের রাস্তা প্রয়োজন হলে রাস্তা, প্রয়োজন হলে ফুটপাত, নর্দমা অর্থাৎ ডিএসসিসির যেসব অবকাঠামো ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেসব অবকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে।
এএসএস/ওএফ/এসএম