পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ

পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০৩০) প্রকাশ করেছে সরকার। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিলের ১১তম সভায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য, সেফটি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিলের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে মালিকপক্ষ-শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে রাজশাহীতে ওএসএইচ ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে এ ইনস্টিটিউটের কাজ শেষ হবে।
সভায় আরও পাঁচটি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ শ্রমিক করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয়।
জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিলের সভায় সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভুঁইয়া, শ্রম শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, আইএলও’র প্রতিনিধি জর্জ ফলার, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
এসএইচআর/এসএসএইচ