আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক কমানোর দাবি

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানোসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত ‘শিল্প বাঁচাও, শ্রমিক বাঁচাও’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান।
ফেডারেশনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করা; সরেজমিন পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানায় লাইসেন্স না দেওয়া; কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নকলবাজদের উচ্ছেদ করা এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক ও মালিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
আলোচনায় আব্দুর রহমান বলেন, বিড়ির উপর করের বোঝা বাড়ানো হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে বেকার জীবন-যাপন করছেন। কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অন্য কাজ না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। এছাড়াও বিড়ির উপর শুল্ক বাড়ানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফাঁকি দিয়ে নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বৈষম্যমূলকভাবে এ শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা নিয়ে বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে সরকার। দেশীয় বিড়ি শিল্প সুরক্ষার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয় না। দেশীয় শিল্পের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা। বিড়ি শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে বৃত্তির ব্যবস্থা, চিকিৎসার জন্য রয়েছে পৃথক হাসপাতাল, সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে মাসিক ভাতার ব্যবস্থা, বিড়ি মালিক ও শ্রমিকদের জন্য রয়েছে ঋণের ব্যবস্থা এবং ১০ রুপির বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখি অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙালী, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক মো. শামীম ইসলাম প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস