ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে

বিশ্বব্যাপী ইলেক্ট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল বর্জ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন আলোচকরা।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে আয়োজিত ‘ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতে তরুণ উদ্যোক্তারাও এই ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করতে পারবে। ই-বর্জ্যের কারণে বর্জ্য প্রবাহ বেড়ে চলেছে। গবেষণা মতে, ২০২৫ এ ই-বর্জ্যের পরিমাণ হবে ৬৫.৩ মিলিয়ন টন এবং ২০৩৫ পর্যন্ত হবে ৭৪.৭ মিলিয়ন টন। এই বাড়তি বর্জ্যের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যহানিসহ নানা প্রকার রোগের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। দেশেও ই-বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি সমন্বয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
তারা আরও বলেন, প্রতিবছর ২০ শতাংশ হারে ই-বর্জ্য বেড়ে চলেছে। ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। যেসব বৈদ্যুতিক পণ্য বা যন্ত্রাংশ পুনরায় ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে তা প্রক্রিয়াজাত করে আবার নতুন করে আবার ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট এবং কালিয়াকৈর এ বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) ইতোমধ্যে ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পূর্ণ গতিতে কাজ শুরু করেছে যা ২০২২-২০২৭ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সেমিনারে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, বিসিএসের সাবেক সভাপতি এস এম ইকবালসহ সরকারি কর্মকর্তা, সমিতির সদস্য ও সদস্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/আইএসএইচ