ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭০ বছরও পূর্ণ হলো আজ। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলনের অবিস্মরণীয় সেই দিনটি আবার ফিরে এসেছে।

এ উপলক্ষ্যে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গোটা জাতি। রাত ১২টা এক মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এবার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি, ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারছেন। শহীদ মিনারের সব প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিক্যুইড সাবান রাখা হয়েছে। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় তিন ফুট পরপর চিহ্ন দেওয়া আছে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকেরা হাতমাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচার চালাচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো দিবসটি পালন করবে। আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাবির কর্মসূচি

২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে প্রভাতফেরিসহ আজিমপুর কবরস্থান হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গমন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ।

বাদ জোহর অমর একুশে হলে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া সন্ধ্যায় টিএসসিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।

এইচআর/আইএসএইচ/জেএস