দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি কীভাবে ট্রমা তৈরি করে

ঢাকার মিরপুরের কলেজশিক্ষার্থী সায়মা (ছদ্মনাম)। কয়েকদিন ধরেই ঘুমাতে পারছেন না। চোখে সবসময় দুর্ঘটনা, ধ্বংস, রক্তপাতের ছবি ভেসে ওঠে। ফেসবুক আর ইউটিউবে প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন দুর্ঘটনা, যুদ্ধ, দেশে-বিদেশে হত্যাকাণ্ডের খবর। “আমি চাইলেও আর এসব এড়াতে পারি না। কখনো কখনো মনে হয় আমি নিজেই সেই ধ্বংসের মধ্যে আছি” বলছিলেন সায়মা।
তিনি একা নন। এমন মানসিক অবস্থায় পড়ছেন দেশের অনেকই। আধুনিক বিশ্বের দ্রুতগতির তথ্যপ্রবাহ, বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ ও ভয়াবহ দৃশ্যের প্রাচুর্য, মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। ভয়ংকর ও নেতিবাচক সংবাদ ঘিরে মানুষ মানসিক চাপে ভুগছে, যা অনেক সময় ট্রমা ও পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (Post-traumatic stress disorder-PTSD)-এ পরিণত হচ্ছে।
ট্রমার সম্ভাব্য কারণসমূহ অনেক বৈচিত্র্যময় এবং তা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। ট্রমা শুধুমাত্র শারীরিক আঘাত নয় বরং মানসিক ও সামাজিক অভিঘাত থেকেও তৈরি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ বুলিং বা হয়রানির শিকার হলে কিংবা শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতন ভোগ করলে ট্রমা তৈরি হতে পারে। যৌন নিপীড়ন, সড়ক দুর্ঘটনা অথবা এমনকি সন্তান জন্মদানের কঠিন অভিজ্ঞতা থেকেও কেউ ট্রমায় আক্রান্ত হতে পারেন।
এছাড়া জীবন-হানিকর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, ঘনিষ্ঠ কারও হঠাৎ মৃত্যু, আক্রমণের শিকার হওয়া, অপহরণ, সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ভূমিকম্প, বন্যা), অথবা যুদ্ধ—এই সব ঘটনাও ট্রমার উৎস হতে পারে। কোনো ট্রমাটিক ঘটনা একবারেই ঘটতে পারে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা দীর্ঘ সময় ধরে বারবার ঘটতে থাকলে দীর্ঘস্থায়ী ট্রমার সৃষ্টি করে।
কেউ বুলিং বা হয়রানির শিকার হলে কিংবা শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতন ভোগ করলে ট্রমা তৈরি হতে পারে। যৌন নিপীড়ন, সড়ক দুর্ঘটনা অথবা এমনকি সন্তান জন্মদানের কঠিন অভিজ্ঞতা থেকেও কেউ ট্রমায় আক্রান্ত হতে পারেন।
অনেক সময় ব্যক্তি নিজে আক্রান্ত না হলেও অন্য কারও ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেও ট্রমায় ভুগতে পারেন। তবে এখনকার সময়ে শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নয়, প্রতিবেদন দেখে, ছবি বা ভিডিও দেখেও অনেকেই পরোক্ষভাবে ট্রমায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যখন ভিডিওগুলোয় রক্তপাত, কান্না বা মৃত্যুর মতো দৃশ্য দেখায়, তখন প্রভাব আরও বেশি হয়।
এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কিশোর-কিশোরী ও তরুণরা, যারা আগে থেকেই মানসিকভাবে দুর্বল, যারা একা থাকে বা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং যারা ঘনঘন সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে। অনেকেই বলেন, ‘সংবাদ না দেখলে আমরা তো অন্ধ হয়ে যাব’। কিন্তু একটানা নেতিবাচক খবর দেখা আমাদের মনে ভয়, দুশ্চিন্তা এবং নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আমাদের মস্তিষ্ক বিপদ টের পেলেই তাড়াতাড়ি প্রতিক্রিয়া দেখায়। যখন কেউ বারবার ধ্বংস বা মৃত্যুর ছবি দেখে, তখন মস্তিষ্ক সেটাকে নিজের অভিজ্ঞতার মতো ধরে ফেলে। এর ফলে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা এমনকি পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD)- ও হতে পারে’।
Dual Representation Theory অনুসারে, ট্রমার স্মৃতি দুই ধরনের হয়। এক হলো সচেতন স্মৃতি (Verbally Accessible Memory-VAM), যা আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি। অন্যটি হলো অচেতন স্মৃতি (Situationally Accessible Memory-SAM), যা যেকোনো সময় হঠাৎ ফিরে আসে। SAM স্মৃতি ব্যক্তিকে আবার সেই ভয়াবহ ঘটনার মাঝে ফিরে যাওয়ার অনুভূতি দেয়।
PTSD-এর উপসর্গ চারটি প্রধান ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। প্রথমত, আঘাত পুনরানুভব (Intrusion symptoms) যেমন, দুঃস্বপ্ন, ফ্ল্যাশব্যাক বা সেই ঘটনার স্মৃতি বারবার মনে পড়া এবং এতে ভীষণ মানসিক কষ্ট পাওয়া। এটি এমন এক মানসিক অবস্থা, যেখানে ব্যক্তি ওই ট্রমাটিক ঘটনাটিকে বারবার মনে করতে থাকেন, স্বপ্নে দেখেন বা হঠাৎ সেই পরিস্থিতিতে ফিরে যান বলে অনুভব করেন।
দ্বিতীয়ত, এড়িয়ে চলার প্রবণতা (Avoidance) আঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত চিন্তা, অনুভূতি বা স্থান, মানুষ, ঘটনা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা।
তৃতীয়ত, নেতিবাচক চিন্তা ও অনুভূতির পরিবর্তন (Negative alterations in cognition and mood) যেমন, আত্মদোষ, পৃথিবীকে ভয়ংকর ভাবা, আগ্রহ হারানো, বিচ্ছিন্নতা অনুভব, ইতিবাচক আবেগের অভাব ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
চতুর্থত, উত্তেজনা বা প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তন (Alterations in arousal and reactivity) যেমন, অতিরিক্ত চমকে ওঠা, ঘুমের সমস্যা, রাগের বিস্ফোরণ, মনোযোগে ঘাটতি এবং আত্ম-ধ্বংসাত্মক আচরণ। এই উপসর্গগুলো ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
গবেষণা বলছে, বারবার নেতিবাচক সংবাদ দেখা বা পড়ার ফলে আমাদের মধ্যে অনিরাপত্তা, দুশ্চিন্তা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় জন্মায়। Predictive Processing Model of Trauma (Friston et al., 2016; Linson et al., 2020) অনুযায়ী, মস্তিষ্ক ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অনুমান করে। ট্রমার পর মস্তিষ্ক ভবিষ্যতকে সবসময় বিপদসংকেত হিসেবে দেখে।
এজন্য PTSD আক্রান্ত ব্যক্তি ভয় পায়, উদ্বিগ্ন থাকে এবং মনে করে ‘আমি নিরাপদ নই’। নেতিবাচক খবর মস্তিষ্কের এই অনুমান ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে, যার ফলে ট্রমার অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি ব্যক্তির প্রতি, সমাজের প্রতি এবং মানবতার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে যা পরিবার, সমাজ ও জাতির সার্বিক সুস্থতায়ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। একটি কার্যকর মানসিক স্বাস্থ্য কাঠামো গড়ে তুলতে হলে সরকার, সমাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে একটি সমন্বিত, ট্রমা-সচেতন (trauma-informed) দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
সরকারের করণীয়:
১. নীতিনির্ধারণ ও কাঠামোগত সহায়তা এবং ট্রমা-সেনসিটিভ নীতিমালা প্রণয়ন: যুদ্ধ, সহিংসতা, দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নিপীড়ন, ধর্ষণ বা গৃহহিংসার মতো ঘটনার পর ট্রমা আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জন্য মনোসামাজিক সাপোর্ট ও ফলো-আপ কেয়ারের নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
২. স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য অন্তর্ভুক্ত করা: প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে ট্রমা-সংক্রান্ত সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মনোবিজ্ঞানীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শিক্ষা কাঠামোয় মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা: স্কুল ও কলেজে ‘সাইকোলজিক্যাল ফার্স্ট এইড’ প্রশিক্ষণ যুক্ত করা জরুরি, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজে যেমন সচেতন হন, তেমনি অন্যের সাথেও সহানুভূতিশীল হতে পারেন।
৪. গবেষণার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি: ট্রমা সংক্রান্ত দেশের পরিসংখ্যান, কারণ, উৎস এবং প্রতিকার নিয়ে গবেষণার জন্য বাজেটে নির্দিষ্ট তহবিল বরাদ্দ করতে হবে।
৫. মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ: ট্রমাটিক ভিডিও, ছবি বা তথ্য প্রচারে সীমারেখা নির্ধারণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।
সমাজের করণীয়:
১. সহানুভূতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি এবং এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি: ট্রমা কোনো ‘দুর্বলতা’ নয় এটি চিকিৎসাযোগ্য এক মানসিক অসুস্থতা। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
২. সহানুভূতিশীল আচরণ গড়ে তোলা: ট্রমা আক্রান্ত কেউ কথা বললে তাকে ‘ও তো কাঁদছে’ বা ‘ওর মানসিক সমস্যা আছে’ বলে অবমূল্যায়ন না করে, তার পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
৩. সামাজিক সহায়তা নেটওয়ার্ক গঠন: পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধু বা কমিউনিটি-ভিত্তিক ‘সাপোর্ট গ্রুপ’ ব্যক্তি ও পরিবারকে সহায়তা করতে পারে। এই বিষয়ে স্থানীয় ক্লাব, স্কুল বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোয় মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি চালানো উচিত।
৪. শোনার সংস্কৃতি গড়ে তোলা: বাংলাদেশে ভুক্তভোগীর কথা শোনা হয় কম, বিচার হয় তার আচরণের। এই মানসিকতার বদলে শোনার ও সম্মান জানানোর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মনোবিজ্ঞানী ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীদের করণীয়:
১. বৈজ্ঞানিক ও সহানুভূতিশীল সেবা: PTSD চিকিৎসায় বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি যেমন CBT (Cognitive Behavioral Therapy), EMDR (Eye Movement Desensitization and Reprocessing) ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত ট্রমা বিষয়ক আপডেটেড থিওরি, মডেল এবং কেস স্টাডি নিয়ে পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
২. প্রতিরোধমূলক সেশন পরিচালনা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যুব ক্লাব বা এনজিও’র সঙ্গে মিলে প্রাথমিক স্তরে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করা যেতে পারে।
৩. নীতিনির্ধারক ও শিক্ষকদের সঙ্গে কাজ: ট্রমা-সংবেদনশীল পাঠদান, স্কুল কাউন্সিলিং ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে পেশাদারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
৪. গোপনীয় ও নিরাপদ সহায়তা ব্যবস্থা গঠন: সেবা নিতে আগ্রহী অনেকেই ভয় পান সামাজিক বিচার বা গোপনীয়তা ভঙ্গ হওয়ার। তাই তাদের জন্য নিরাপদ ও আস্থাশীল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
এছাড়াও করণীয়:
১. খবর দেখার সময় নির্ধারণ করুন: সারাদিন খবরে ডুবে থাকার দরকার নেই। দিনে একবার বা দুইবার নির্দিষ্ট সময়ে সংবাদ দেখুন বা পড়ুন।
২. বিশ্বস্ত সূত্রে খবর নিন: যেসব সংবাদমাধ্যম অতিরিক্ত নাটকীয়তা সৃষ্টি করে বা ভয়ভীতি ছড়ায়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। বর্তমানে যখন মানুষ বারবার নেতিবাচক খবর দেখে, তখন মস্তিষ্কের এই ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস ব্যবস্থাও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়, যার ফলে উদ্বেগ, আতঙ্ক, এবং ট্রমার অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়।
অনেক সময় ব্যক্তি নিজে আক্রান্ত না হলেও অন্য কারও ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেও ট্রমায় ভুগতে পারেন। তবে এখনকার সময়ে শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নয়, প্রতিবেদন দেখে, ছবি বা ভিডিও দেখেও অনেকেই পরোক্ষভাবে ট্রমায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
৩. সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমা টানুন: সব সময় স্ক্রল করতে থাকলে নেতিবাচক খবরের ঢল থেকে মুক্তি মিলবে না। প্রয়োজনে ফোন থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপ সরিয়ে রাখুন কিছু সময়ের জন্য। Network Theory of PTSD (Rubin et al., 2008; Rupp et al., 2022) অনুসারে, ট্রমাটিক স্মৃতির সংবেদনশীলতা একটি জটিল নেটওয়ার্ক। সামান্য কোনো শব্দ, ছবি বা খবরের শিরোনাম এই নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে ব্যক্তিকে আবার সেই মানসিক অবস্থায় নিয়ে যায়। নেতিবাচক সংবাদ বারবার দেখার ফলে এই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হয়ে মানসিক চাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৪. নিজেকে সময় দিন: সময় নিয়ে প্রিয় কিছু করুন গান শোনা, বই পড়া, প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো।
৫. প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিন: PTSD আক্রান্ত ব্যক্তি সবসময় মনে করেন, ‘খারাপ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে’, ‘আমি নিরাপদ না’, ‘কিছুই আমার নিয়ন্ত্রণে নেই’। যদি ব্যক্তি মনে করেন তার আতঙ্ক, ঘুমের সমস্যা বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তাহলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি ট্রমার ক্ষেত্রে চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সচেতন থাকা জরুরি কিন্তু সেটা যেন আমাদের মানসিক শান্তির ক্ষতি না করে। বর্তমান দুনিয়ার বাস্তবতা কঠিন এবং অনেক কিছু আমাদের হাতে নেই। তবে নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই নিজের যত্ন নিন, যত্ন নিন আশপাশের মানুষগুলোরও।
ড. জেসান আরা : সহযোগী অধ্যাপক, মনোবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
jesan@ru.ac.bd