বায়ু দূষণে বিপন্ন শিশুর ভবিষ্যৎ

বায়ু দূষণ আজ বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের সবচেয়ে নীরব কিন্তু প্রাণঘাতী সংকটগুলোর একটি। দ্রুত শিল্পায়ন, নগরায়ন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির বাড়তি ব্যবহার বিশ্বব্যাপী এই দূষণকে আরও ভয়াবহ সংকটে পরিণত করেছে। এই দূষণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে শিশুদের ওপর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর তথ্যমতে, পৃথিবীর প্রায় ৯৩ শতাংশ শিশু প্রতিদিনই এমন বাতাসে শ্বাস নিয়ে থাকে যার দূষণের মাত্রা WHO–এর সুপারিশকৃত মানমাত্রার থেকে অনেক বেশি। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ভবিষ্যৎ উৎপাদনশীলতার ওপর এই দূষণের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি ও অপরিবর্তনীয়। ফলে দূষণের ক্ষতি তাদের ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দিতে পারে।
শিশুদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার এবং দূষকের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা তাদের বায়ু দূষণের প্রধান শিকার করে তুলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ বায়ু দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এবং এর মধ্যে প্রায় সাত লাখ শিশুর মৃত্যু ঘটে যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১.৮ বিলিয়ন শিশু এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে বায়ু দূষণের মাত্রা WHO–এর নির্ধারিত মানের থেকেও বহুগুণ বেশি। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি তিন জন শিশুর মধ্যে দুই জন নিয়মিত অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা বিপজ্জনক বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে বহুমুখী সংকটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুদের ফুসফুসের তুলনামূলক ছোট আকার, শ্বাস নেওয়া হার বেশি হওয়া এবং বাইরে অধিক সময় কাটানো, এই কারণগুলো তাদের বায়ু দূষণের প্রতি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সায়েন্সেস (NIEHS) অনুযায়ী, একটি শিশু প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের তুলনায় একজন প্রাপ্তবয়স্কের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বাতাস গ্রহণ করে, ফলে একই পরিবেশে শিশু দূষক গ্যাস ও কণা বেশি গ্রহণ করে।
এছাড়া PM2.5 নামে পরিচিত অতিসূক্ষ্ম কণাগুলো এত ছোট যে তা শুধু ফুসফুসেই আটকে থাকে না, বরং রক্তনালীর মাধ্যমে মস্তিষ্কেও পৌঁছে যায়। ২০১৮ সালে ল্যানসেট কমিশনের একটি গবেষণায় প্রকাশ পায়, PM2.5–এর ঘনত্বে প্রতি 10 μg/m³ বৃদ্ধি শিশুর অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অন্তত ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে।
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বায়ু দূষণের নেতিবাচক প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা তথ্যমতে, গর্ভকালীন সময়ে উচ্চমাত্রার কার্বন ব্ল্যাক ও PAH (Polycyclic Aromatic Hydrocarbons)–এর সংস্পর্শে আসা শিশুদের মধ্যে পরবর্তীতে IQ স্কোর ৪–৫ পয়েন্ট কম পাওয়া যায়। আর IQ–এর এমন স্বল্প পরিবর্তনও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সিদ্ধান্তগ্রহণ ও মনোজাগতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর প্রায় ১.৮ বিলিয়ন শিশু এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে বায়ু দূষণের মাত্রা WHO–এর নির্ধারিত মানের থেকেও বহুগুণ বেশি। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি তিন জন শিশুর মধ্যে দুই জন নিয়মিত অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা বিপজ্জনক বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে বহুমুখী সংকটের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ২০২০ সালের একটি মেটা-অ্যানালাইসিস থেকে জানা যায়, বায়ু দূষণ শিশুর অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (ASD) এবং অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (ADHD)–এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে। PM2.5 এবং নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড (NO₂)–এর মাত্রা বেশি এমন এলাকায় বসবাসকারী শিশুদের মধ্যে আচরণগত সমস্যার হার গ্রামীণ পরিচ্ছন্ন এলাকার তুলনায় প্রায় ২ গুণ বেশি।
শিশুর শ্বাসযন্ত্রে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। UNICEF–এর ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ু দূষণজনিত নিউমোনিয়া শিশু মৃত্যুর সবচেয়ে বড় পরিবেশগত কারণ এবং বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ৬,০০,০০০ শিশু বায়ু দূষণ–সম্পর্কিত শ্বাসতন্ত্রের রোগে মারা যায়।
উচ্চঝুঁকিসম্পন্ন দেশগুলোর তালিকায় সামনের সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো। বাংলাদেশে শীতকালে PM2.5–এর মাত্রা WHO–এর নির্ধারিত মানমাত্রার তুলনায় ১০–১৫ গুণ বেড়ে যায়, যা শিশুদের হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, কাশি এবং ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণা অনুযায়ী, সার্বিক শ্বাসতন্ত্র–সংক্রান্ত COPD রোগীদের ৪০ শতাংশ–এর বেশি হলো শিশু এবং এদের বেশিরভাগই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করে।
বায়ু দূষণের ক্ষতি শুধু তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘমেয়াদেও এর প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ। শিশুদের ফুসফুসের বৃদ্ধি সাধারণত ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে। কিন্তু দূষিত বাতাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের আকার ও কর্মক্ষমতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে, যা পরবর্তীতে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ-সিওপিডি (COPD) এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
ক্যালিফোর্নিয়া ক্লিন এয়ার স্টাডির ১৫ বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দূষণের কারণে শিশুদের শারীরিক সক্ষমতা কমে যাওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষমতা ও শ্রম–উৎপাদনশীলতা প্রায় ৬–৭ শতাংশ কমে যেতে পারে। অর্থাৎ একটি দেশের অর্থনীতিতেও এর ক্ষতির অংকটা অনেক বিশাল।
আরও পড়ুন
গর্ভবতী মায়েরা বায়ু দূষণের কারণে বড় ঝুঁকির মুখোমুখি হন, যার সরাসরি প্রতিফলন দেখা দেয় নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর। WHO এর মতে, গর্ভকালীন সময়ে উচ্চমাত্রার PM2.5–এর সংস্পর্শে আসা মায়েদের কাছ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে কম ওজন নিয়ে জন্মানো, প্রি–টার্ম ডেলিভারি, জন্ম–সংক্রান্ত জটিলতা এবং পরবর্তী জীবনে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ইটভাটার কাছাকাছি বসবাসকারী গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে কম–ওজনের শিশু জন্মের ঝুঁকি দূরবর্তী এলাকার তুলনায় দেড় গুণ বেশি। দূষণের এই আন্তঃপ্রজন্ম প্রভাব সমাজে দারিদ্র্যচক্রকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করে, কারণ দুর্বল শিশু মানেই দুর্বল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
জীবনযাত্রা এবং শিক্ষার অগ্রগতিতেও বায়ু দূষণের প্রভাব বৈশ্বিকভাবে স্পষ্ট। নেচার সাসটেইনেবিলিটিতে প্রকাশিত ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, একদিনে PM2.5–এর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়লে সেই দিন শিশুদের গণিত ও ভাষা–পরীক্ষার স্কোর ২–৬ শতাংশ কম হয়।
চীনের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, বায়ু দূষণে প্রতিদিনের জ্ঞানীয় কার্যকারিতা আক্রান্ত হওয়ায় বছরে মোট শিক্ষার সময় প্রায় ১–১.৫ মাস সমতুল্য হ্রাস পায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ঘন শিল্পাঞ্চলের স্কুলগুলোয় দিনের বেলা PM2.5–এর মাত্রা প্রায়ই ২০০–৩০০ μg/m³–এ পৌঁছে যায়, যা WHO–এর দৈনিক মানমাত্রা (২৫ μg/m³) থেকে ১০–১২ গুণ বেশি। ফলে স্কুলগামী শিশুদের মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও শিক্ষাগত অগ্রগতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত হয় যা ভবিষ্যৎ দক্ষ জনশক্তি তৈরির ক্ষেত্রে বড় হুমকি।
বায়ু দূষণের সঙ্গে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সম্পর্কও এখন গবেষণার আলোচ্য বিষয়। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চমাত্রার শহুরে দূষণের এলাকায় বড় হওয়া শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা ও আচরণগত সমস্যার হার বেশি। মস্তিষ্কের ইমেজিং গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বাতাসে দীর্ঘদিন থাকার ফলে শিশুদের গ্রে–ম্যাটার ঘনত্ব কমে যেতে পারে, যা আবেগ–নিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত–গ্রহণের ক্ষমতাকে দুর্বল করে।
বায়ু দূষণের আরেকটি উপেক্ষিত প্রভাব হলো শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। PM2.5, ওজোন ও NO₂ এর মতো দূষকগুলো ফুসফুসে প্রদাহ তৈরি করে, যা ইমিউন ফাংশন দুর্বল করে দেয়। এর ফলে একটি দূষিত শহরে বসবাসকারী শিশু বছরে গড়ে দেড় থেকে দুইগুণ বেশি সর্দি–কাশি ও শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোয় ২০২১–২২ সালে পরিচালিত গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দূষণ–প্রবণ এলাকায় শিশুদের মধ্যম–মাত্রার শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ১০ বছর আগের তুলনায় ৩০–৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো শুধু স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্কতা নয়, বরং প্রমাণ করছে যে, বায়ু দূষণ একটি শিশুর বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতকেও ঘিরে ধরেছে। যে শিশু আজ প্রচণ্ড কাশিতে ভুগছে, সে ভবিষ্যতে দুর্বল ফুসফুস নিয়ে বড় হবে। যে শিশুর মস্তিষ্ক আজ দূষণের কারণে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না, সে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য কর্মদক্ষতার শিখরে পৌঁছাতে পারবে না।
বায়ু দূষণের সঙ্গে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সম্পর্কও এখন গবেষণার আলোচ্য বিষয়। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চমাত্রার শহুরে দূষণের এলাকায় বড় হওয়া শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা ও আচরণগত সমস্যার হার বেশি।
যে শিশু আজ দূষণের ঘেরাটোপে শেখার মনোযোগ হারাচ্ছে, সে একসময় দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে পিছিয়ে পড়বে। অর্থাৎ বায়ু দূষণ শুধু স্বাস্থ্য সমস্যা নয়, এটি একটি মানবসম্পদ সংকট, একটি শিক্ষাগত সংকট, একটি অর্থনৈতিক সংকট এবং দীর্ঘমেয়াদে এটিই জাতীয় ভবিষ্যতের সংকট।
বাংলাদেশকে এই সংকট মোকাবিলায় এখনই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে। শহরগুলোয় সবুজায়ন বৃদ্ধি, ইটভাটা–নিয়ন্ত্রণ, যানবাহনের নির্গমন কমানো, বর্জ্য–ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, নির্মাণকাজে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ এবং বিশেষভাবে স্কুল–পরিবেশে বায়ুর গুণগতমান পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয়কে জাতীয় অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখতে হবে।
উন্নত দেশগুলো যেমন ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট, লো–ইমিশন জোন ও ক্লিন ট্রান্সপোর্ট নীতি গ্রহণ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক ফল পেয়েছে, বাংলাদেশকেও একই পথে এগোতে হবে। এই বিষয়ে সরকার, গবেষক, বিদ্যালয়, পরিবার এবং নাগরিক সবার আন্তরিক অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, শিশুরা নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে পারে না, তাদের পক্ষে সিদ্ধান্তও নিতে পারে না। বয়স্করাই তাদের জন্য নীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা তৈরি করেন। তাই বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু পরিবেশ–সংক্রান্ত কোনো আন্দোলন নয়, এটি আমাদের শিশুদের জীবন–রক্ষা, দক্ষতার সম্ভাবনা পুনরুদ্ধার এবং জাতির টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণের লড়াই।
আজকের দূষিত বাতাসে বেড়ে ওঠা একটি শিশু আগামী দিনের দুর্বল জাতি গঠনের ইঙ্গিত দেয়, আর পরিষ্কার বাতাসে বেড়ে ওঠা একটি শিশু আগামী দিনের শক্তিশালী ও সক্ষম বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতি বহন করে। তাই শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমাদের বায়ু দূষণ রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং চেয়ারম্যান, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)
