অতি অল্প সময়ে দেশকে মুক্ত করব : ফখরুল

বিএনপির নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে মুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, বাংলাদেশে এখন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আছে। যারা ১/১১ অবৈধ সরকারের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছে।
সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু বিশ্বাস করি না, এখন আস্থাশীল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রত্যেকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে সক্ষম হব। খালেদা জিয়া আজ কারাগারে না হলেও অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় বন্দি আছেন। অন্যদিকে একইভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে আছেন। বাংলাদেশেকে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের জনগণের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া, ব্যর্থ করে দেওয়া, দেশকে উপরে উঠতে না দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী যারা ক্ষমতায় আছে তাদের। তারা চিরদিন ক্ষমতা থাকবে। তার জন্য গণতন্ত্র বলুন, ভোটের অধিকার বলুন সবকিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১/১১ সময় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় আনা একই চক্রান্তের অংশ। এ চক্রান্ত শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল বিরাজনীতিকরণ করে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই উদ্দেশে ১/১১ অবৈধ সরকার দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়িয়ে বিচারবিভাগ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে ওই শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল, যারা বাংলাদেশের ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধের শক্তি।
আওয়ামী লীগ সেই দিন সেই অবৈধ শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতা এসেছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ সরকারের পর শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পরিষ্কার করে বললেন— এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। এটা তখনই প্রমাণিত হয়ে গেছে, এই দুই বছরে তাদের যে নীলনকশা ছিল তা বাস্তবায়িত করেছে। সেই সময় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সংগ্রাম করতে গিয়ে বিএনপির ছয়শ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন-নতুন মামলা হচ্ছে। অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে দলীয়করণ করে ফেলেছে।
এএইচআর/এসএসএইচ