গ্যাসের দাম বাড়ানোর ‘অপতৎপরতা’ বন্ধের দাবি সিপিবির

গ্যাসের দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাস বিক্রি করে কোম্পানিগুলো লাভে আছে। এসব কোম্পানি দুর্নীতি, অনিয়ম, অপচয় দূর করেনি। ভুল নীতিতে চলছে। দেশের গ্যাসের যতটুকু উত্তোলন সম্ভব, ততটুকুও উত্তোলন করা হচ্ছে না। স্থল ও সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধান করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেই। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে গ্যাসের দাম কমিয়ে আনা যেত। এটি না করে দেশেকে এলএনজি আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বেশি দামে গ্যাস কেনার কথা বলে সাধারণ মানুষকে ভর্তুকির কথা শোনানো হচ্ছে। আর এই ভর্তুকির টাকা আবারও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তুলতে অহেতুক দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। সরকারের এই ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়লে খরচ বাড়বে, বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়বে, পরিবহন ব্যয় বাড়বে। করোনাকালে আয় কমে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ এমনিতেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ। এরপর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পেলে সাধারণ জনগণ আরও বিপাকে পড়বে। এসব বিবেচনায় আমরা ‘গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অযৌক্তিক আবেদন’ নিয়ে গণশুনানি বন্ধের দাবি করেছিলাম। বাংলাদেশের এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আমাদের কথা না শুনে গণশুনানি অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে সরকার ও বিইআরসির বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা না থাকলেও দাম বাড়াবে। দাম বাড়ানোর অপতৎপরতা বন্ধের জন্য আমরা পুনরায় দাবি জানাচ্ছি এবং সুবিধা মতো সময়ে দাম কমানোর লক্ষ্যে ও গ্যাসের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গণশুনানি আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএইচএন/এনএফ