জাতীয় সরকার ফর্মুলা ষড়যন্ত্রকারীদের স্তব্ধ করে দিয়েছে : গয়েশ্বর

বিএনপির জাতীয় সরকার ফর্মুলা ষড়যন্ত্রকারীদের স্তব্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, একটি শব্দ ষড়যন্ত্রকারীদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শব্দটি বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেছেন। তা হচ্ছে নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে অথবা গণতন্ত্রের পক্ষে যারা থাকবে তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব।
শনিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম জাকিরের সন্ধান দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন করা হলো। ২৬ মার্চ থেকে তার আগ পর্যন্ত কার নেতৃত্বে দেশে যুদ্ধ হয়েছে? জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করতে একটি জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ।
দেশকে আওয়ামী লীগ যেখানে নিয়ে গেছে, সেখান থেকে সঠিক ট্র্যাকে ফেরাতে হলে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই। এই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হলে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিদের নিয়ে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা অপরিহার্য। এ জন্যই বিএনপি নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্বাচনের পর জাতীয় সরকারের কথা বলছে।
ছাত্রদল নেতা নিখোঁজ আমিনুল ইসলাম জাকিরের সন্ধান দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, হত্যাকাণ্ডের চেয়ে গুম আরও নৃশংস। একজন মানুষকে হত্যা করলে অন্তত তার মরদেহ পাওয়া যায়। সামাজিক ও ধর্মীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতাও আছে। মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণও করা যায়। কিন্তু গুম করা হলে জীবিত নাকি মৃত্যু সেটাও বলা যায় না। এটি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন। গুম হওয়াদের নিয়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তারা ঠাট্টা মশকরা করেন। এ অধিকার তাদের কে দিয়েছে?
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ, এখানে নাস্তিক নেই। এ দেশে যেসব মুসলিম ভাইয়েরা আছেন তারা ধর্মপরায়ণ, জঙ্গি নন। দেশের মানুষের ওপর এ অপবাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টিকে আছে। আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তাই, পশ্চিমা বিশ্বসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলোকে বলব, যে দেশে জঙ্গিবাদ নেই, সেখানে জঙ্গি নির্মূলেরও কোনো প্রয়োজন নেই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
এএইচআর/এমএইচএস