বাম জোটের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। আর বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে জিরোপয়েন্ট ঘুরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে জোটের নেতাকর্মীদের এই ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমানোর দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে কারসাজি চলছে তার বিরুদ্ধে ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই একাকার হয়ে গেছে। এই লড়াইয়ে আমাদের আন্দোলন করে এই সরকারকে হটাতে হবে, ব্যবস্থা বদল করতে হবে।
ব্যবসায়ীরা কথা না রাখলেও সরকার ব্যবসায়ীদের কথা রেখেছে উল্লেখ করে বাম নেতারা আরও বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন- ব্যবসায়ীরা কথা রাখেনি, অথচ ঈদের পর অফিস খোলার প্রথম দিন সরকার ব্যবসায়ীদের দেওয়া কথা রেখেছে। তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে।
নেতারা আরও বলেন, বিকল্প বাজার ব্যবস্থা ছাড়া ব্যবসায়ীদের সাথে অনুনয়-বিনয় করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
এজন্য দক্ষতা ও দুর্নীতিমুক্তভাবে তেলসহ নিত্যপণ্য আমদানি, মজুত গড়ে তোলা এবং সারাদেশে সার্বজনীন রেশনিং ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলটি জিরো পয়েন্টের মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের লাঠিচার্জে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন বাম জোটের সমন্বয়ক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা জানায়। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। সারা দেশে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল সাত্তার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ।
এএইচআর/এনএফ