যাওয়ার আগে ভালো হবে না বলে গেল বিএনপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই প্রেসক্লাবের আশপাশের প্রতিটি মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমাবেশের প্রবেশ পথে ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ।
সমাবেশে সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক৷ শাজাহান কী ছিলেন, জানি না। ১৯৭২ সালের পর থেকে তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। জিয়াউর রহমান ও শাজাহান কি এক জিনিস? সেই শাজাহান এখন মিটিং করছেন কিভাবে জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার করা যায়।
ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারতের বিজেপিপ্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন হলে বাংলাদেশ থেকে একটা পাখিকেও ঢুকতে দেবেন না। আমি বলি বাংলাদেশের পাখিরা যাবে কেন? আপনাদের দেশের গবেষকরা বলছেন, শতকরা ৫০ ভাগের বেশি মানুষ রেললাইনের ধারে, রাস্তার ধারে মানুষ মলত্যাগ করে। আমাদের পাখিরা তো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তারা কেন ইন্ডিয়াতে যাবেন?
সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমি পুলিশকে বলব, যেসব মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রেখেছেন, দয়া করে তাদের ছেড়ে দেন। না হলে এর ফল ভাল হবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, আজকে পুলিশের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে পুরো রাজধানী বিএনপির দখলে। এভাবেই কি আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবেন? আর কয়েকদিন পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও বলবে আওয়ামী লীগের দরকার নেই, তারা চোর। তাই বলব, এখনই অবস্থার অবসান করেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশ শেষে বিএনপি কর্মীদের কদম ফোয়ারর দিকে এগুতে দেয়নি পুলিশ। ফলে বিএনপির নেতারা কর্মীদের পল্টনের দিক দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তারা পল্টনের দিক দিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।
নিরাপত্তার বিষয়ে আগেই ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির আগের সমাবেশে সংঘর্ষ হওয়ায় পুলিশ খুব সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ওইদিনের তুলনায় আজ পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারাগামী সব ধরনের যান চলাচল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমিত ছিল। দুপুর ১২টার পর সমাবেশ শেষ হলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এমএইচএন/এএইচআর/ওএফ/আরএইচ