বাজেট প্রত্যাখ্যান করে সরকারের পদত্যাগ চাইল এলডিপি

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া দেশের বিদ্যমান সংকটের নিরসন হবে না
শুক্রবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটেতে এলডিপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক বিশেষ বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে এলডিপি একাংশের মহাসচিব বলেন, এই বাজেট গতানুগতিক। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও দরিদ্র হবে এবং দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি করার সুযোগ তৈরি করবে। এই বাজেট দেশের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না।
সেলিম বলেন, গত ১৬ বছরে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো সরকার না থাকায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নাজুক ও সংকটজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এভাবে একটি দেশ কোন অবস্থাতেই চলতে পারে না। জাতির এই মহাসংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বর্তমান সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করা।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির দলের পক্ষ থেকে আমাদের পার্টির বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তা অরাজনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং চরম মিথ্যাচার। কোন বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ গং জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অথচ সবাই জানে যে, এলডিপি ২০ দলীয় জোটের শুরু থেকেই একটি শরিক দল হিসেবে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের প্রতি আস্থাশীল। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো পাতানো মামলায় খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে তথাকথিত সাজা ঘোষণার পর থেকেই অলি আহমদ বিএনপির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র করছেন।
নেতাকর্মী শূন্য হওয়ায় অলি আহমদ কিছুদিন ধরে আবারও বিএনপির কাছে ঘনিষ্ঠ হওয়ার অপচেষ্টায় আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি করেন সাবেক বিএনপির এই নেতা। সেলিম বলেন, এ ধরনের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার থেকে সকল নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।
দলের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল গণি, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম রৌনক, ডা. জাফর সিদ্দিক, মোড়ল আমজাদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার প্রমুখ।
এএইচআর/আইএসএইচ