৩০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিন ৩০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির নেয়া এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর সেই কলঙ্কময় কালেমা দিবসের দ্বিতীয় বৎসর পূর্ণ হবে। বাংলাদেশের মানুষ দিনটিকে ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গেই স্মরণ করে। ২০১৮ সালের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ-সমাবেশ হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় সমাবেশ করবে।'
তিনি জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনা সরকার প্রকাশ করলেও তা জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়। ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও তার সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করা জরুরি। সংগ্রহকৃত ভ্যাকসিন সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিতরণ ও নীতিমালা সঠিকভাবে পালন করে ভ্যাকসিনগ্রহীতার কাছে এর প্রয়োগ পর্যন্ত কিছু টেকনিক্যাল বিষয় হওয়ায় ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কালবিলম্ব না করে একটি রোড ম্যাপ প্রণয়ন এবং তা জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অবহিতকরণ, সবক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পুরো পরিকল্পনা জনগণের কাছে প্রকাশ করা প্রয়োজন বলে স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে।'
স্থায়ী কমিটির সভায় সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠকে যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জনগণের কাছে প্রকাশ না করায় স্থায়ী কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলে জানান মির্জা ফখরুল।
‘ভ্রান্তনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ একটি শিক্ষা প্রতিবন্ধী জাতি হিসেবে পরিণত হতে চলেছে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক সূচকে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন হওয়ায় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হতাশা এবং সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করা হয়।’
এএইচআর/এমএআর