স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের পক্ষে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়।
দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুজিব শতবর্ষ আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এমন এক মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ছিলে কোটি বাঙ্গালি। সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা এক দেশকে নিয়ে স্বপ্ন জয়ের শুরুটা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১২ বছর আগে। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়ার গল্প। নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে ২০০৮ সালে দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতি, অবকাঠামো, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন, সুশাসন, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন করেছে, হয়ে উঠেছেন জনগণের আস্থা আর ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল। তারই ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএন-সিডিপি) তিন শর্ত পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেল বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উত্তরণের দাপ্তরিক স্বীকৃতি লাভে নেতৃত্বদানকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন!
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দৃপ্ত পদচারণায় এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অসামান্য অবদানসহ সকল অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।
১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করে।
সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। (১) মাথাপিছু আয় (২) মানবসম্পদ সূচক (পুষ্টি, স্বাস্থ্য, মৃত্যুহার, স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার হারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়) এবং (৩) অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক (প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আঘাত, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং বিশ্ববাজার থেকে একটি দেশের দূরত্বসহ আটটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়)।
জাতিসংঘ ১৯৭১ সালে কিছু নির্ণায়কের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে কম উন্নত দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি হিসেবে পৃথকভাবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ১৯৭১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ছিল ২৫, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এ নাগাদ বতসোয়ানা, কেপভার্দে, মালদ্বীপ, সামোয়া, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ও ভানুয়াতু উত্তরণ ঘটাতে পেরেছে।
এইউএ/এইচকে