শিশুদের জন্য সুন্দর-শান্তিময় আবাসস্থল নির্মাণের আহ্বান
শিশুদের জন্য ‘সুন্দর-শান্তিময়’ আবাসস্থল নির্মাণে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শিশুদের জন্য কি আমরা সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার, প্রেমের ও একটি স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পেরেছি?
তিনি বলেন, তখন নিজের প্রতি ঘৃণা আসে, ধিক্কার আসে যে শিশুদের জন্য আমরা সে আবাসস্থল তৈরি করতে পারিনি। যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগত তৈরি করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলা কুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন সবাই মিলে উদ্যোগ গ্রহণ করি, চেষ্টা করি যে আমাদের শিশুদের জন্য একটি শান্তিময় ও নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার। দেশকে সত্যিকার অর্থেই হাসি-গানের দেশ বানিয়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।
শিশুদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে। কিছুদিন পরই হয়ত পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো। এ কোভিড-১৯ এর মধ্যে অনেক গুণী মানুষ চলেও গেছেন। তোমাদের মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই।
শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি না করতে পারার দায় আমাদের উল্লেখ করে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা লড়াই-যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছিলাম। কথা দিয়েছিলাম যে এ দেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব, সমাজকে-রাষ্ট্রকে সহনশীল, উদার একটা রাষ্ট্র গঠন করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পুরোপুরিভাবে সেটা আমরা করতে পারিনি। নিজেদের মধ্যে দলাদলি করেছি, কোন্দল করেছি, বিভক্ত হয়েছি।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ হচ্ছে। এটি স্বাধীনতার মাস। এই মাসে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী থেকে নিজেদের মুক্ত করতে আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম। সেই যুদ্ধে ডাক দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যুদ্ধে অনেক মানুষ মারা গেছে। প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্য সেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সঙ্গীতে এএসএম শফি মন্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমি সাহাকে ‘কমল পদক-২০২০’ প্রদান করা হয়।
সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং মাশুক সিদ্দিকী ও নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাডেমির পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, শিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জোস্না উপস্থিত ছিলেন।
এএইচআর/এমএইচএস