জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ডা. রাফাত গ্রেপ্তারে জামায়াতের নিন্দা

আমীর ডা. শফিকুর রহমানের ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এম. আলম সিই করা এক বিবৃতিতে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সন্তান ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে ৯ নভেম্বর সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
>>জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে গ্রেপ্তার
মূলত জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা সরকারের এই অন্যায় পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ডা. রাফাত চৌধুরী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিটিটিসি'র দাবি, গ্রেপ্তার ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিল।
বুধবার (৯নভেম্বর) রাতে ডা. রাফাতকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপি'র সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সেজাদুল ইসলাম সাহাব তানিম ওরফে ইসা ওরফে আরাফাত ওরফে আনোয়ার ওরফে আনবির (২৪), মো. জাহিদ হাসান ভূঁইয়া (২১) ও সৈয়দ রিয়াজ আহমদ (২২) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ডা. রাফাত চৌধুরীর নাম আসে।
গ্রেপ্তার তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আনসার আল ইসলাম সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছিলেন ডা. রাফাত। পরে তারা গত ৬ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। এর ভিত্তিতে আজ দুপুরে সিলেট এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেইউ/এমএ