পল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. নয়ম মিয়া ‘হত্যাকাণ্ডের’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে পল্টনে জড়ো হচ্ছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন। এসময় তাদের হাতে ছিল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড। সেখানে নয়ন হত্যার বিচারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদেরও বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন : জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ‘সন্দেহজনক’ : রিজভী
এদিকে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সমাবেশস্থল ও নাইটিঙ্গেল মোড় এবং ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত রয়েছে চোখে পড়ার মতো। এদিকে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে পল্টন এলাকার ভিআইপি সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিএনপির নেতাদের দাবি, বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মো. নয়ন মিয়া। সরকার অভিযুক্ত পুলিশকে বিচারের আওতায় না এনে উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আওয়ামী পোশাকধারী সন্ত্রাসী পুলিশ খুব কাছে থেকে গুলি করে হত্যা করেছে নয়ন মিয়াকে। এর আগে একইভাবে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সাত জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। একদিন এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।
/এএইচআর/এসএসএইচ/