আ.লীগের কাউন্সিল : নতুনেও কাদের!

# আজ চাঁদ রাত, কাল সম্মেলন
# পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা
# ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়
# প্রবীণ-নবীনের সংমিশ্রণে নতুন নেতৃত্ব গঠিত হবে
# চার নেতার সন্তানরাও আসতে পারেন নেতৃত্বে
# নতুন নেতৃত্বে থাকবে নারীদের অগ্রাধিকার
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শনিবার (২৪ ডিসেম্বর)। ইতোমধ্যে সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসী এখন সম্মেলনের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। তবে সময় যতই ঘনিয়ে আসছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। সম্মেলন ঘিরে তাদের মধ্যে একদিকে উৎসব, আরেকদিকে চিন্তা। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিশ্চিত হলেও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন, ঘুরেফিরে সামনে আসছে সেই প্রশ্ন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন— এমন গুঞ্জনই চারদিকে।
এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতাও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হ্যাট্রিকের বিষয়টি নিয়ে অগোচরে কথা বলছেন। ওবায়দুল কাদেরকেই আগামী নেতৃত্বের ভার দেওয়া হতে পারে বলে জানান তারা। অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এ পদ নিয়ে সভাপতির দিকেই চেয়ে আছেন সবাই।
আরও পড়ুন >>> আওয়ামী লীগ : বহুত্ববাদ ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল
জানা গেছে, সম্মেলন ঘিরে ঘুম হারাম অবস্থা বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের। অনেকেই ভুগছেন পদ হারানোর শঙ্কায়। আবার অনেকে রয়েছেন পদোন্নতির আশায়। দলের সভাপতিমণ্ডলীতে কিছু নতুন মুখ আসতে পারে এবং সম্পাদকমণ্ডলী ও সদস্যপদে সামান্য কিছু রদবদলের সম্ভাবনা আছে বলে দলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস পাওয়া গেছে। তবে দলটির সূত্রগুলো বলছে, নবীন ও প্রবীণের সম্মিলনে আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব আসবে। এতে প্রবীণদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সংগঠনকে গতিশীল করতে কমিটিতে তারুণ্যের নতুন রক্ত সঞ্চালন করা হবে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভির শাকিল জয়, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ছেলে ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, আওয়ামী লীগের আরেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক, চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দলে ভেড়ানো হতে পারে। যদিও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও এনামুল হক শামীমকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আবারও জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন দেশের মানুষের কাছে সবসময় একটা আনন্দের ও উৎসবের বিষয়। কারণ, বাংলাদেশে সত্যিকারভাবে একমাত্র গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। আমরা প্রতি তিন বছর পরপর জাতীয় সম্মেলন করি। তার আগে জেলা ও অন্যান্য সম্মেলনগুলো করা হয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসে। এবারের সম্মেলন নিয়ে আমি আশা করছি যে কাউন্সিলররা যেভাবে চাইবেন সেভাবে নেতৃত্ব ঠিক হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। তিন জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা যেভাবে চাইবে সেভাবে হবে।’
আরও পড়ুন >>> বাহাত্তরে আওয়ামী লীগ : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি হয়েছে, এবারও তাই হবে। মহিলাদের কিছুটা অগ্রাধিকার থাকবে।’
২২তম জাতীয় সম্মেলনে নতুন কমিটি হলে সেখানে তিনি তৃতীয় দফায় একই পদে থাকছেন কি না সে প্রশ্ন করা হয়েছিল ওবায়দুল কাদেরকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব বদলালেও এ দলেই আছি, দলের জন্যই কাজ করব।’
দলীয় সূত্র মতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলটি নিয়মিতভাবে চারটি জাতীয় কাউন্সিল করেছে। এতে কেন্দ্রীয় রাজনীতি সুসংগঠিত হয়েছে, বেড়েছে নেতৃত্বের বলয়। দীর্ঘ ৭৩ বছরের রাজনৈতিক দলটির প্রতি সমর্থকদের পাশাপাশি বেড়েছে দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা। দুর্দিনে দলের পাশে থাকতে প্রস্তুত এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও এখন কম নয়। শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দলটির ২২তম জাতীয় কাউন্সিল। টানা এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকলেও অতীতে দলটির নতুন নেতৃত্বে দুর্দিনের অনেক নেতার ঠাঁই হয়নি বলে একটা ‘অনুচ্চারিত’ অভিযোগ আছে। গত চার সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির ৩১২ পদের মধ্যে মাত্র ২৪.৬৭ শতাংশ ছিল নতুন মুখ। কমিটিগুলোতে বেশি হয়েছে পদের রদবদল। অর্থাৎ ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিরা পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছেন। দেখা গেছে, ২১.১৫ শতাংশ নেতার পদ পরিবর্তন হলেও তারা কমিটিতে থেকে গেছেন। আগের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এমন নেতার সংখ্যা খুব কম। অংকের হিসাবে সেটি কেবল ১৯.২৩ শতাংশ।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মঞ্চ সাজসজ্জাসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার কাজ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে তৈরি ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৪৪ ফুট প্রস্থের মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল মঞ্চের উচ্চতা ৭ ফুট। সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মঞ্চ। মূল মঞ্চে চার লেয়ারে চেয়ার সাজানো হয়েছে। প্রথমটিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসবেন। দ্বিতীয়টিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সিনিয়র নেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাকি দুটিতে কেন্দ্রীয় নেতারা বসবেন। মূল মঞ্চে মোট ১২০টি চেয়ার রাখা হবে।
আরও পড়ুন >>> অর্জন অনেক, চ্যালেঞ্জও কম নয়
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কিছুটা কৃচ্ছতাসাধনের লক্ষ্যে সম্মেলনে সাদামাটা আয়োজনের জন্য এ বছর বিদেশিদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তবে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে দাওয়াত দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বেশির ভাগই দুই দিনব্যাপী হয়েছে। এবার তা একদিনে নামিয়ে আনা হয়েছে খরচ কমাতে। ২০১৯ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। সর্বশেষ সম্মেলনের বাজেট ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এবারের সম্মেলনের জন্য বাজেট ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসার পর আধ ঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।

সূত্র মতে, ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আকার এবারও ঠিক থাকবে। তবে নতুন কমিটিতে অনেক রদবদল হবে। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে উপদেষ্টা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর ও কার্যনির্বাহী সদস্য থেকেও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রদবদল করা হতে পারে। এবার বেশ কয়েকটি পদে নতুন মুখ আসছে বলে সূত্রটি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন >>> শেখ হাসিনা : আলোর দিশারি
এবারের জাতীয় সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হবে। বিষয়টি সামনে রেখেই সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’। এতে সারাদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এবং লক্ষাধিক ডেলিগেটসহ অন্যান্য নেতাকর্মী অংশ নেবেন। সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর নামাজ ও খাবারের বিরতি শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
সম্মেলনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন— প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট ও নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুত। তবে এবারও এর ব্যবহারের সম্ভাবনা কম। কারণ অন্যান্যবারের মতো এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই থাকবেন। কাউন্সিলররা সর্বসম্মতি দিয়ে তাকেই যে টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করবেন, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাকেই কাউন্সিলররা দায়িত্ব দেবেন সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতা নির্বাচনের।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সামগ্রিক প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। খাবার পানি, তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প ও জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সামগ্রিক শৃঙ্খলার দায়িত্বে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
আরও পড়ুন >>> শেখ হাসিনার পরিবেশ-প্রতিবেশ সচেতনতা
রেওয়াজ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সভাপতির আসন ছেড়ে কাউন্সিলরদের জন্য নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসবেন। এরপর নির্বাচন কমিশন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন। প্রথমে দলটির দুজন প্রবীণ নেতা সভাপতি পদে নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করবেন। একাধিক প্রার্থী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হবে সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক কোনো প্রার্থী না থাকলে প্রস্তাবিত দুজনকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন নির্বাচন কমিশন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের পর নবনির্বাচিত নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মূল মঞ্চে উঠে পরবর্তী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এরপর বাকি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব কাউন্সিলররা সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপরই অর্পণ করবেন। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গঠনের চাবিকাঠি দলের প্রধানের হাতেই থাকছে।
এমএসআই/এসএসএইচ/
