কোনো আন্দোলনে আমরা অগ্নিসন্ত্রাস করিনি : আমু

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম


কোনো আন্দোলনে আমরা অগ্নিসন্ত্রাস করিনি : আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, আমরা পাকিস্তান আমল থেকে হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় আন্দোলন শুরু করেছি। এই খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। খালেদা জিয়া ৯৬ সালে এক মাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে পদত্যাগ করে বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিতে। সেই আন্দোলনে কিন্তু আমরা অগ্নিসন্ত্রাস করিনি। কোনো আন্দোলনেই আমাদের অগ্নিসন্ত্রাস করতে প্রয়োজন হয় না।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বিএসডি) আয়োজিত ‌‘বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা তিনি এসব কথা বলেন। 

আরও পড়ুন>>রাজপথে নাশকতা মেনে নেওয়া হবে না : আমির হোসেন আমু

ধ্বংসাত্মক রাজনীতি যারা পছন্দ করে তারা কখনো দেশ প্রেমিক হতে পারে না মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা কোনো স্কুল ঘর ভাঙি নাই। কিন্তু তারা (বিএনপি) ভোট সেন্টার নষ্ট করার নামে ৬০০ স্কুল ধ্বংস করেছে। যারা একটি দেশের ৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে পারে, তারা যদি আন্দোলনে নামে তাহলে তাদের মানুষ কি ভাবতে পারে। এটিই হচ্ছে তাদের চরিত্র। মানুষ হত্যা কোনো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। আজকে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা!

আমি মনে করি আজ পর্যন্ত বিএনপির পার্লামেন্টটি ফর্মে গণতন্ত্র নাই। আমার বিশ্বাস এখন পর্যন্ত তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে পার্লামেন্টারি ফর্মে আসে নাই। আজকে তারা বড় বড় গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায়।

আরও পড়ুন>>সাধারণ জনগণের যুদ্ধের ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ : আমু

বিএনপি প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ বার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে মন্তব্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, এরা রাজনৈতিকভাবেই শুধু আমাদেরকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করে নাই, তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে গণহত্যা চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমরা টানা ২১ বছর নির্যাতিত হয়েছি। মামলা হামলা খুন-খারাবি এমন কিছু নাই যার শিকার আমরা হইনি। তারপর ৯৬ সালে আমরা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় গেলাম তখন আমরা তাদেরকে একটা ফুলের টোকা পর্যন্ত দেইনি। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, ৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হয়নি। প্রতিহিংসা তো দূরে থাক আমরা কোনো বিজয় মিছিল করলে সেখানে আক্রমণ হতে পারে সেই দুশ্চিন্তায় শেখ হাসিনা আমাদেরকে বিজয় মিছিল পর্যন্ত করতে দেন নাই। কিন্তু ২০০১ এ তারা ক্ষমতায় এসে প্রতিদান হিসেবে দিল ৩০ হাজার লোক হত্যা। আজকে তারা বড় বড় কথা বলে, অথচ ২০০১ সালের পর তারা ৩০ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। 

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিএসডি'র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমদ মুক্তা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএ

Link copied