বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করলে সরকার রাগান্বিত হন : মেনন

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:২৬ এএম


বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করলে সরকার রাগান্বিত হন : মেনন

ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশে দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ একটি পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে থমকে যায়। বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে বহু আলোচনা হয়েছে। আর পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। কারণ এতে সরকার কেবল অস্বস্তিবোধ করেন না, রাগান্বিতও হন। এটা ঠিক যে এ সরকার শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এ নয় যে, এ নিয়ে কোনো জবাবদিহিতা চাওয়া যাবে না। সর্বশেষ সরকার বিদ্যুৎ আইনের যে সংশোধনী এনেছে, তা এ ক্ষেত্রে জনগণের প্রশ্নের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি উন্নয়নের অনুষঙ্গ। কিন্তু যেসব দেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে, তারা দুর্নীতি নিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন তার পার্টির দেড় লাখ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। যার মধ্যে পলিটব্যুরোর সদস্যও রয়েছে। ভিয়েতনাম তাদের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু আমরা মন্ত্রী-আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেরেছি? পারি নি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি আজ আর খেলাপি ঋণ ও অর্থ পাচার নিয়ে বিশেষ কথা বলব না। এ নিয়ে সংসদে অনেক কথা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবখানা এমন যে, ‘বক আর ঝক যত কানে দিয়েছি তুলো, মার আর ধর যত পিঠে বেঁধেছি কুলো।’

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও পশ্চিমা বিশ্ব যে পুরো যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, তা পৃথিবীকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। তাদের এ যুদ্ধ চক্রান্তে বাংলাদেশকে তারা জড়াতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এর থেকে এখনো পর্যন্ত দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আর এ কারণেই সে সব শক্তি আমাদের নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে এত সোচ্চার। আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন নিজেদের ব্যাপার। তারা বরং নিজের ঘর সামাল দিক, পরে অন্যের কথা বলুক।

মাদক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করলেও ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে দেশের তরুণদের বড় অংশ তাদের হতাশা ঢাকতে মাদককে আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও কোনো কার্যকর ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। মাদকাসক্তি দেশের অর্থনৈতিক-সামাজিক অগ্রগতিকে টেনে ধরছে, আরও ধরবে। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান তিনি।

এসআর/এফকে

Link copied