সরকার সচেতনভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে

সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তারা দীর্ঘকাল জবরদস্তি ক্ষমতায় বসে থেকে মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে। এই দানবীয় সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে গণফোরাম আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
>>>সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনেক আইন তৈরি করেছে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রোজার মাস সংযমের মাস কিন্তু এই মাসে সরকার সংযম দেখাতে পারেনি। গতকাল শনিবার সারা দেশে আমাদের যে কর্মসূচি ছিল সেখানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
>>>বেপরোয়া সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও বরদাশত করছে না : ফখরুল
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে হবে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখানে অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য, ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য আমরা আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানাতে চাই- আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়।
অনুষ্ঠানে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলা যায়, বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলাপ করা যায় সেই সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে। এই জালিম, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ সরকারকে রুখে দিতে হবে।
>>>আ.লীগ সারাক্ষণ বিএনপিকে নিয়ে ‘দুঃস্বপ্ন’ দেখে
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, এই সরকার জাতিকে মহা সংকটের দিকে ঠেলে দিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন। দয়া করে ক্ষমতা থেকে সরে যান, না হলে রক্ষা পাবেন না।
ইফতারে অংশ নেয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
এএইচআর/এমএ