বাসাইল পৌরসভায় ভোট সুষ্ঠু হলে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর হলে তার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নিজের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এ কথা বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা।
বঙ্গবীর বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনে আমি এবার নিয়ে দু’বার এসেছি। আগেরবারের চেয়ে এবার অনেক ভালো লেগেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা পুরো নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। তারা বলেছেন, তাদের সাধ্য মতো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে বাসাইল নির্বাচন উপহার দেবেন।
তিনি বলেন, ইসির অনেক কথার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করেছি। নির্বাচন হওয়া উচিৎ অবাধ, নিরপেক্ষ। কোন দল অংশগ্রহণ করল, ক’টি দল অংশগ্রহণ করল, এটার চেয়ে আমি মনে করি কতজন ভোটার তার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারল, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।
এখন পর্যন্ত ইসির কার্যক্রমে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কমিশন যখন গঠিত হয় তখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমরা গিয়েছিলাম। আমাদেরও কমিশন গঠনে প্রস্তাব ছিল। এই নির্বাচন কমিশন প্রথম প্রথম অনেক এলোমেলো কথাবার্তা বলেছে। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, তারা বুঝতে পেরেছেন নির্বাচন কমিশন কী এবং তাদের অনেক এলোমেলো কথা কমে গেছে। সেজন্যই আমরা উৎসাহী হয়ে এসেছি।
সুষ্ঠু ভোটের দায়িত্ব কি কেবল নির্বাচন কমিশনের? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, না, না। একটা নির্বাচনকে যথাযথ সুন্দর করার প্রধান দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তার চাইতেও আমার কাছে মনে হয় যারা রাজনৈতিক দল, জনসাধারণ, ভোটার এবং সরকার; তফসিল ঘোষণার পরে সরকারেরও সরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অনেকে তার সেই ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব দেখাতে পারে অনেকে আবার পারে না। আমরা বিশ্বাস এই কমিশন এখন সেই নেতৃত্ব দেখাতে পারবে।’
দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন হলো সরকার, সরকার কিছু নয়। সরকার হলো তখন আজ্ঞাবহ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অতটা দেখা যায় না। আমরা প্রত্যাশা করব ধীরে ধীরে পূব দিক থেকে সূর্য উদীত হবে, পশ্চিমে অস্ত যাওয়ার আগেই আমরা এই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারব। নির্বাচনের সময় কোনো দলীয় সরকার থাকে না। নির্বাচনী সরকার, তার কোনো কাজ নেই। অসম্ভব বলে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশনেরও এগিয়ে আসতে হবে এবং মানুষকেও একটু এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভূমিকা রাখতে হবে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর বলেন, বিএনপি এখানে বড় কথা নয়। বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা অন্যান্য দল কোনোটাই বড় কথা নয়। যদি মানুষের মধ্যে নির্বাচনী মনোভাব সৃষ্টি করা যায়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল বড় কথা নয়।’
এসআর/এনএফ