সিইসির পদত্যাগ দাবি ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ ও জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন। এসময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ দাবি করেন বক্তারা।
সোমবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর ওপর হামলার নজির নেই। এটা বাংলাদেশেই কেবল সম্ভব হয়েছে। সমাবেশে ২১ জুন নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে গণমিছিল সফলের আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে চরমোনাই পীর ঘোষিত ৫ দফা প্রস্তাব এবং ৮ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
বরিশালে হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণে ক্ষমতাসীনদের রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসের কথাও নতুন নয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও মুফতি ফয়জুল করীম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তো দূরের কথা, তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাটুকুও পাননি। তাহলে এটা কীসের নির্বাচনী প্লেয়িং ফিল্ড। মিথ্যাবাদী সিইসির লজ্জা থাকা দরকার।
তারা বলেন, ঘটনার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি একজন উন্মাদের মতো ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন। এমন একজন কাণ্ডজ্ঞানহীন বিকারগ্রস্ত মানুষ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকতে পারে না। অবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ চাই।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়ার। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) হাফেজ সৈয়দ ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতী মোস্তফা কামাল, এইচএম রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইন, কামাল উদ্দিন, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত, শামীম খান, মু. আব্দল আজিজ, মো. পারভেজ মিয়া, মাওলানা শামসুল হক, মুফতী হাবিবুল্লাহ ও মাওলান আব্দুর রশিদ সাভারী।
পরে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
কেএ
