হেফাজতের কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবির ঢুকে গেছে : আউয়াল

সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেছেন, ‘কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ও পরাজিত শক্তি জামায়াত ও দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের উগ্রপন্থীরা ঢুকে পড়েছে।’
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে এক বিবৃতিতে এম এ আউয়াল বলেন, ‘এরা একাত্তর সালেও দেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও এদের অবস্থানে পরিবর্তন আসেনি। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। থানা, রেলস্টেশনে চালানো হয়েছে জঙ্গিবাদী নাশকতা। বিনাশ করা হয়েছে সাধারণ জনগণের সম্পদ। রোববার হরতালেও দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলস্টেশন, সংস্কৃতিকেন্দ্রসহ মানুষের সম্পদ নষ্ট করেছে হেফাজত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কওমি মাদরাসার সাধারণ ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যবহার করে হরকতপন্থী জঙ্গিবাদী-উগ্রপন্থীরা এসব হামলা করছে। হেফাজতের ব্যানারে জিহাদি স্লোগান যারা দিচ্ছে, তারাই গণমানুষের সম্পদ বিনষ্টের উগ্রখেলায় মেতে উঠেছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাও এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। সরকার নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলেই এদের মুখোশ বেরিয়ে আসবে।’
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক লাইভ দেখিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পেছনেও জামায়াত-শিবিরের উগ্রপন্থীরা যুক্ত’ বলে অভিযোগ করেন এম এ আউয়াল। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে ফেসবুকে অসংখ্য আইডি থেকে ফেক লাইভ করে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।’
গত কয়েকদিনে হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান ও তদন্তের দাবি জানান এম এ আউয়াল। তিনি বলেন, ‘অস্বাভাবিক কোনো মৃত্যুই কারও কাছে কাম্য হতে পারে না। কিন্তু এসব মৃত্যুর পেছনের কারণ যথাযথ অনুসন্ধান করতে বিভাগীয় তদন্ত করা জরুরি।’
এএইচআর/ওএফ