‘রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার মতো দক্ষতা বিএনপির কারো নেই’

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনায় যে দক্ষতা রয়েছে সেটা নিশ্চয়ই বিএনপির কোনো নেতাদের নেই। বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সংটের গভীরতার সঙ্গে বিএনপি কোনো নেতারা ওয়াকিবহাল না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করবে এবং এই সকল কাজে সুফল একমাত্র শেখ হাসিনার সাহসী দক্ষ নেতৃত্বই সম্পন্ন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব, ক্ষমতায় যাওয়ার লিপ্সা পরিহার করেন এবং যোগ্যতা বাড়ান। প্রতিযোগিতায় আসেন। ভোটে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। যোগ্যতার মাপকাঠিতে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানোর দক্ষতা অর্জন করুন। নিশ্চয়ই অনুকম্পা করে বা সমঝোতা করে আপনাদের গদিতে বসানো হবে না। বিদেশিদের কাছে নালিশের রাজনীতি করেও কোনো লাভ হবে না, বরঞ্চ নিজেদের যোগ্যতা বাড়ান।
আরও পড়ুন
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, একাধিক দুর্লভ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আমাদের নেত্রী তার অন্যতম হলো পিতার প্রতি বিরল ভালোবাসার উদাহরণ স্থাপন করা। এই রকম একজন মানবিক এবং সংবেদনশীল ব্যক্তি, যে সারা জীবন দেখেছে তার পিতাকে এদেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করতে। যে শিশু বয়সে নিজে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই মানুষটির ১৫ আগস্টের শোক বহন করতে হয় আজীবন ধরে। বঙ্গবন্ধু পরিবার রক্ত দিয়ে ১৫ আগস্টে যে মূল্য দিয়েছে তাতে আজীবন জাতি বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি ঋণী থাকবে। ১৫ আগস্টের অভিজ্ঞতা থেকে ফিরে এসে এদেশের মানুষের প্রতি আমাদের নেত্রীর যেই ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা তার উদারতা আর মহত্বের প্রমাণ বহন করে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায় বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না, একটা মর্যাদাশীল দেশও পেতাম না। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও হত না। আমরা এখন গর্ব করে বলি যে, এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন টাকা বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের নেত্রী, শেখ হাসিনা।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন এক নেত্রীকে অনুসরণ করি যিনি এ দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রজন্মকে তার কাছ থেকে ত্যাগের দীক্ষা নিতে হবে। আমি আশা করি এদেশের যুবসমাজ জননেত্রীর দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সর্বদা সোচ্চার থাকবে এবং প্রয়োজনে প্রতিবাদী থাকবে। একই সঙ্গে সমসাময়িক ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা নিজেদেরকে দক্ষ যুবশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে মনোনিবেশ করব।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এমএসআই/এমএ/