কম্প্রোমাইজ করার যে স্পেস সেটা বিএনপি রাখেনি : কাদের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কম্প্রোমাইজ ও অ্যাডজাস্টমেন্ট করার যে স্পেস, সেটা বিএনপি রাখেনি, ব্লক করে দিয়েছে। বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। আমরা প্রতিনিধি দলের কাছে জানতে চেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করবে?
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টা রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১২টায় রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইআরআই ও এনডিআই’র একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের জন্য এসেছে। তারা অন্যান্যদের মতো আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে আমাদের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনা সরকার করেছেন, সে ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার জাতির কাছে সে বিষয়েও আমরা কথা বলেছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যে অভিযোগ তাদের কাছে করেছে তার জবাব আমরা তাদেরকে (প্রতিনিধি দলকে) জানিয়েছি। আমরা জানি যে বিএনপি সভা সমাবেশ নিয়ে যেভাবে ভুল তথ্য পরিবেশন করে, আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আসছে, সে ব্যাপারে আমাদের সঠিকতার বিষয়টি আমাদের অবশ্যই তাদেরকে বলতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কারও বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু দেশে আজকে এমন এমন গুজব, মিথ্যাচার চলছে, যার জবাব, অবশ্যই রাজনৈতিক দল হিসেবে, ক্ষমতাসীন দল হিসেবে অবশ্যই জবাব দিতে হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিনিধি দল অবশ্য বলেছে, তারা কোনো বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। তারা এখানে একটা ভালো নির্বাচন দেখতে চায়। আমরাও বলেছি- আমরা একটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, তাদের কথাবার্তা আমাদের কাছে খুব পজিটিভ মনে হয়েছে, তারা যে কোনো পক্ষ নিয়ে বা কোনো বায়াসড অ্যাটিচিউড নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে, এমন নয়। আমাদের দেশের টেলিভিশন চ্যানেলে আমি তো যাই না। যারা যান, তারা উপলব্ধি করতে পারেন, এখানে উপস্থাপক নিজেই একটা পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। এই প্রতিনিধি দল কোনো পক্ষ নিয়ে কথা বলেনি। ভায়োলেন্সের কোনো আশঙ্কা আছে কি না এসব বিষয় তারা পর্যবেক্ষণ করছে।
কাদের বলেন, তারা আসলে আমাদের মনোভাবটা জানতে চেয়েছে, পরিবেশটা জানতে চেয়েছে, আমরা আসলে কী করতে চাই, কী ধরনের ইলেকশন করতে চাই এবং ভবিষ্যতটা কীভাবে দেখছি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এ বিষয়ে কথা হয়েছে।
সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, বিএনপি নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এসব বিষয় বলেছে। তারা বলেছে, কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্টের কি কোনো সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? তখন আমরা বলেছি কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্টে সেটারও স্পেস থাকতে হবে।
বিএনপি বা বিরোধী দলে আমাদের দেশে যা চলছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলেনি। আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই, তাদের সেটা বলেছি, বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এমএসআই /জেডএস