ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা রওশন এরশাদের

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
তিনি বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং সম্পূর্ণ ভূখণ্ড ফিরিয়ে দেওয়ার মধ্যেই এ সংকটের সমাধান রয়েছে। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন এ অঞ্চলের শান্তির পথ প্রশস্ত করবে না।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রওশন এরশাদের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতা ফিলিস্তিন ভূমিতে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সব ইসলামিক রাষ্ট্র ও ওআইসির নেতাদের এ ধরনের লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে হস্তক্ষেপ করতে বলার আহ্বান জানান।
এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি রহমত বর্ষণ করার জন্য দোয়া করেন। ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি তাদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, ফিলিস্তিন এখন শুধু ইসরায়েল নয়, বরং পশ্চিমা আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। সেখানকার মানুষজন এক মানবতাহীন জীবন যাপন করছে। বিদ্যুৎ, পানি, খাবার, চিকিৎসা কোনো কিছুই সেখানে আর পর্যাপ্ত নেই। পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে মানবতার সংকট চলছে। ফিলিস্তিনের গাজা এখন এক মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হয়েছে। মরদেহ রাখারও জায়গা হচ্ছে না মর্গগুলোতে।
তিনি রওশন এরশাদকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সর্বদাই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘তারা সব সময় ফিলিস্তিনের নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সংকটের সময় আমরা আরও জোরালো ও শক্ত ভূমিকা প্রত্যাশা করি।’
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাহগীর আল মাহি (সাদ) এরশাদ এবং বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্।
এসএম
