‘জনগণ সরকারের একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না’

পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে জনতার উত্তাল তরঙ্গ থামানো যাবে না। আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েই জনতা ঘরে ফিরবে বলে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল, ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ দলের গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার টানা অবরোধ ডেকেছে জামায়াত।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঢাকা মহানগর উত্তরের উত্তরা জামায়াত অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে। গাউসুল আজম থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আজমপুরে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ পরবর্তী পথসভায় ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বলেন, গণবিরোধী সরকার একতরফা নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সে ষড়যন্ত্রকে বাস্তবরূপ দেওয়ার জন্যই সারাদেশে গায়েবী মামলা ও গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।
সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে শিবিরের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, জনগণ এবার সরকারের চক্রান্ত মেনে নেবে না বরং একতরফা তফসিল ঘোষণা করা হলে জনগণ রাজপথে দুর্বার ও অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তুলবে। সরকারকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার আগামী নির্বাচনে ভোটচুরি নির্বিঘ্ন ও প্রতিপক্ষমুক্ত করতেই জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখে। এছাড়া গোটা দেশকেই অঘোষিত কারাগারে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের লাগামহীন লুটপাটের কারণেই জাতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
আমদানি ব্যয় আর রপ্তানি আয়ে কোনো ভারসাম্য নেই। উপর্যুপরি দেশে তীব্র ডলার সঙ্কট চলছে। এ অবস্থায় দেশ ও জাতিকে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে জামায়াত আমীরেরসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
জেইউ/এমএসএ