সব বাধা পেরিয়ে এবার গণতন্ত্রের বিজয় কেতন উড়বেই : জামায়াত

আন্দোলন দমনের নামে সরকার যে নিষ্ঠুর আচরণ করছে, তা খুবই ভয়ংকর, আত্মঘাতী ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। তবে সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এবার গণতন্ত্রের বিজয় কেতন উড়বেই।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুইদিনের অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সফল হয়েছে দাবি করে জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গ্রেপ্তার-হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ওই বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ রাজবন্দি ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে চলমান আন্দোলন কোনো দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়। এ আন্দোলন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা সরকারের অন্যায় কাজের সমালোচনা করায় তাদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং অনেকেই গুপ্ত হত্যার শিকার হচ্ছেন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) গাজীপুরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং আঞ্জুরা বেগম নামে এক নারী শ্রমিককে হত্যা করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জামায়াতে ইসলামী এবং এর শাখা সংগঠনের ৬৪ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতন এবং বেআইনি গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র হরণকারী জালিম সরকার জামায়াতসহ বিরোধীদলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশ একযোগে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করছে। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপাচ্ছে। সরকারের আশকারায় এবং আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পুলিশ উৎসাহী হয়ে আরও মারমুখী আচরণ করছে। মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছে। আন্দোলন দমনের নামে সরকার যে নিষ্ঠুর আচরণ করছে, তা খুবই ভয়ংকর, আত্মঘাতী ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।
সরকারের উদ্দেশে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, অতীতে বীর জনতা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। তারা মৃত্যুকে ভয় পায় না, হাসিমুখে বরণ করতে জানে। সকল প্রতিকূল-প্রতিবন্ধকতা এবং বাধার বিন্ধ্যাচল পেরিয়ে এবার গণতন্ত্রের বিজয় কেতন উড়বেই।
জেইউ/কেএ