‘নূর হোসেনের চেতনা লালন করলে ভোট ডাকাতি হতো না’

শহীদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট শহীদ নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পল্টন মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো স্বৈরতন্ত্র নির্ভর। যে কারণে এক স্বৈরাচার যায়, আরেক স্বৈরাচার আসে। এই স্বৈরাচারী রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করতে হবে। আজকে রাজনৈতিক দলগুলো নূর হোসেনের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে। প্রকৃত চেতনা লালন করলে বাংলাদেশে ভোটচুরি হতো না, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হতো না।
নূর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন উল্লেখ করে রাশেদ বলেন, ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, অথচ তিনিই ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। আজকে নির্বাচন কমিশন বলছে, তফসিল ঘোষণার পরিবেশ আছে। বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাকে জেলে ভরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ! সত্যিই হাস্যকর। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল বলছে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, মিথ্যাচার আর অত্যাচার এই দুয়ে মিলে হয় স্বৈরাচার, বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রকামী জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন করে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। আমরা সরকারকে বলতে চাই অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। কোনো স্বৈরাচারী ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। জুলুম নির্যাতন করে এই স্বৈরাচারী সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। জনগণের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারেরও অচিরেই পতন ঘটবে।
উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য নূরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
এএইচআর/এনএফ