চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১২০ প্রার্থী, কে কোন প্রতীক পেলেন

চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার মোট ১৬টি আসনে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন ১২০ প্রার্থী। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কার্যালয় থেকে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ১৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেম। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতে আপিল করে ১৩ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। এতে করে জেলায় বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৯ জনে। এর মধ্যে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন নয়জন প্রার্থী।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনে যে যে প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন
চট্টগ্রামে-১ (মিরসরাই) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। এর মধ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুর উর রহমান পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নির্বাচন করবেন ঈগল প্রতীক নিয়ে। এছাড়া জাতীয় পার্টি মনোনীত মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুল মান্নান পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মনোনীত মো. ইউসুফ পেয়েছেন টেলিভিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. নুরুল করিম আফছার পেয়েছেন একতারা ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী পেয়েছেন হাত (পাঞ্জা)।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে প্রার্থী হয়েছেন আটজন। এর মধ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন তরমুজ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত মীর মুহামমদ ফেরদৌস আলম পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ পেয়েছেন মোমবাতি, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শফিউল আজম চৌধুরী পেয়েছেন লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান পেয়েছেন ঈগল, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির শাহজাদা সৈয়দ সাইফুফদ্দীন আহমদ পেয়েছেন একতারা ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী পেয়েছেন ফুলের মালা।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন আটজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মাহফুজুর রহমান। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল, জাতীয় পার্টির এম. এ. ছালাম পেয়েছেন লাঙ্গল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নূরুল আক্তার পেয়েছেন মশাল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্যাহ খাঁন পেয়েছেন মোমবাতি, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার পেয়েছেন একতারা, ন্যাশনাল পিপসল পার্টির মোহাম্মদ মোকতাদের আজাদ খান পেয়েছেন আম ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আব্দুর রহীম পেয়েছেন চেয়ার প্রতীক।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন এস এম আল মামুন। এছাড়া জাতীয় পার্টির মো. দিদারুল কবির চৌধুরী পেয়েছেন লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির খোকন চৌধুরী পেয়েছেন সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আকতার হোসেন পেয়েছেন টেলিভিশন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোজাম্মেল হোসেন পেয়েছেন চেয়ার ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ডাব প্রতীক।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। জোটগত সমঝোতায় এটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবু মোহাম্মদ শামশুদ্দিন পেয়েছেন টেলিভিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী পেয়েছেন একতারা, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী ছৈয়দ হাফেজ আহমেদ পেয়েছেন চেয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী কেটলি, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন সোনালী আঁশ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোখতার আহমেদ পেয়েছেন মোমবাতি।
চট্টগ্রাম-৬ আসনে (রাউজান) মোট প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরী। এছাড়া জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সফিক-উল আলম চৌধুরী পেয়েছেন লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী পেয়েছেন সোনালী আঁশ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ট্রাক ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের স. ম. জাফর উল্লাহ পেয়েছেন চেয়ার প্রতীক।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও আংশিক বোয়ালখালী) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ছয়প্রার্থী। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আহমদ রেজা পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান পেয়েছেন মোমবাতি, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. মোরশেদ আলম পেয়েছেন একতারা ও তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম পেয়েছেন সোনালী আঁশ।
চট্টগ্রাম-৮ (আংশিক বোয়ালখালী উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি। জোটগত কারণে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই দল থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন সোলায়মান আলম শেঠ। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম পেয়েছেন কেটলি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এস. এম. আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন টেলিভিশন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ফুলকপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ পেয়েছেন হাতঘড়ি, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ মহিবুর রহমান বুলবুল পেয়েছেন ডাব, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আব্দুন নবী পেয়েছেন মোমবাতি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. কামাল পাশা পেয়েছেন আম, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা পেয়েছেন সোনালী আঁশ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন পেয়েছেন চেয়ার প্রতীক।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ ওয়ার্ড) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়া জাতীয় পার্টির সানজীদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টির মিটল দাশগুপ্ত পেয়েছেন কুঁড়েঘর, তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার পেয়েছেন সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নূরুল হুসাইন পেয়েছেন হাতঘড়ি ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম পেয়েছেন মোমবাতি।
চট্টগ্রাম-১০ (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন নয়জন। আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। এছাড়া আসনটিতে জাতীয় পার্টির জহরুল ইসলাম রেজা পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন পেয়েছেন চেয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ পেয়েছেন কেটলি, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মিজানুর রহমান পেয়েছেন একতারা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী পেয়েছেন মোমবাতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম পেয়েছেন ফুলকপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মো. আনিছুর রহমান পেয়েছেন মশাল ও তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির পেয়েছেন সোনালী আঁশ।
চট্টগ্রাম-১১ (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ ওয়ার্ড) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন এম. আবদুল লতিফ। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন কেটলি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন পেয়েছেন চেয়ার, গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক পেয়েছেন উদীয়মান সূর্য, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত পেয়েছেন সোনালী আঁশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নারায়ন রক্ষিত পেয়েছেন আম ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. মহি উদ্দিন পেয়েছেন একতারা।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন আটজন। আসনটি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ঈগল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম. এ. মতিন পেয়েছেন মোমবাতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম. এয়াকুব আলী পেয়েছেন নোঙর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কাজি মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ছৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জেহাদী পেয়েছেন ডাব, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা সরকার পেয়েছেন লাঙ্গল ও তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী পেয়েছেন সোনালী আঁশ।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনে (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) মোট প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। আসনটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এছাড়া জাতীয় পার্টির আবদুর রব চৌধুরী পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোছাইন পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন পেয়েছেন মোমবাতি, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. আরিফ মঈন উদ্দিন পেয়েছেন একতারা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক পেয়েছেন বটগাছ ও তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন সোনালী আঁশ।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও আংশিক সাতকানিয়া) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন আটজন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া জাতীয় পার্টির আবু জাফর মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ পেয়েছেন লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল জববার চৌধুরী পেয়েছেন ট্রাক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবুল হোসাইন পেয়েছেন চেয়ার, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ফারুকী পেয়েছেন ফুলের মালা, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মোহাম্মদ আয়ুব পেয়েছেন একতারা, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. গোলাম ইসহাক খান পেয়েছেন টেলিভিশন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ পেয়েছেন মোমবাতি প্রতীক।
চট্টগ্রাম-১৫ (আংশিক সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব পেয়েছেন ঈগল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলী হোসাইন পেয়েছেন মোমবাতি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী পেয়েছেন হাতঘড়ি, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম পেয়েছেন লাঙ্গল, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ হারুন পেয়েছেন মিনার ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ছড়ি প্রতীক।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ঈগল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আব্দুল মালেক পেয়েছেন চেয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির পেয়েছেন ট্রাক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির আশীষ কুমার শীল পেয়েছেন কুঁড়েঘর, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি পেয়েছেন ডাব, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মুহাম্মদ আবছার চৌধুরী পেয়েছেন আম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ মহিউল আলম চৌধুরী পেয়েছেন মোমবাতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খালেকুজ্জামান পেয়েছেন বেঞ্চ ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শফকত হোসাইন চাটগামী পেয়েছেন মিনার প্রতীক।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর। এরপর আজ (সোমবার) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।
এমআর/কেএ