ভোট বর্জন করে জনগণ আওয়ামী সব অপকৌশলকে ব্যর্থ করে দিয়েছে : মাসুদ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিন দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন একতরফার ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ভোট বর্জন করে জনগণ আওয়ামী সকল অপকৌশলকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত ‘প্রহসনের নির্বাচন’ বাতিল ও অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার সব কিছু অগ্রাহ্য করে জনগণের তিন হাজার কোটি টাকা নষ্ট করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। তামাশার এই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতিই ছিল না, দেশের ২৭টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছে যে, আওয়ামী সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে জনগণ প্রস্তুত নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও এই নির্বাচন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে।’
‘প্রহসনের এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে। অনেকের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এসে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিয়েছে। জনগণ তাদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে তাদের সকল অপকৌশলকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।’
‘তারা আওয়ামী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে কেয়ারটেকার সরকারের পক্ষে তাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেছে। এমতাবস্থায় জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবু ফাহিম, মহানগর মজলিশে শূরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল আমিন, মুহাম্মদ আবু মুয়াজ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সারোয়ার, শাহ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, বাহার উদ্দিন ও ছাত্রশিবিরের থানা সভাপতি নাঈম ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়া, অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, রমনা, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরা, সবুজবাগ, মুগদা, বংশাল, কোতোয়ালি, সুত্রাপুর, চকবাজার, লালবাগ, গেন্ডারিয়া, কলাবাগান, নিউমার্কেট, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন থানায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
জেইউ/কেএ