নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে দেশের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে : বুলবুল

ভঙ্গুর ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে আজ দেশের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সীমান্তে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের জনগণকে লাশ উপহার দিচ্ছে। অথচ ফ্যাসিস্ট সরকার আধিপত্যবাদের তাঁবেদারি করতে গিয়ে তার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘসময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ফলে কার্যত দেশের ভৌগোলিক সীমানা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের থানা ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নূরুল ইসলাম বুলবুল।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নানসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্যরা।
বুলবুল বলেন, জনগণ ভোট ও ভাতের ন্যায্য অধিকার হারিয়েছে, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই, এমনকি মানুষের জান ও মালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকেরা ধর্ষণ করছে। প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তি গ্রেপ্তার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। দেশের এ ক্রান্তিকালে জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করতে মূল দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্যবাদের দোসর এই স্বৈরাচার সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জামায়াতের দায়িত্বশীল ভাইদের ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমাবেশে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি এক গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ফলে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে জামায়াতের দায়িত্বশীলদের সম্মুখে থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
জেইউ/এসএসএইচ