করোনা মোকাবিলায় জেএসডির ৪ দফা

চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচ লক্ষ্য সামনে রেখে চার দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) করোনা মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরেন দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
জেএসডি সভাপতি বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে এবং জাতীয় ঐক্য স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যমান মডেল পরিবর্তন করে নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। করোনা মোকাবিলায় পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
পাঁচ লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে- করোনা মোকাবিলায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিরোধ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ, স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে জনগণকে সম্পৃক্তকরণ, দারিদ্র্যসীমার নিচে প্রায় পাঁচ কোটি জনগণকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ, স্থানীয় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সব পর্যায়ে জাতীয় ঐক্য স্থাপন এবং হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের লক্ষ্যে টিকার বিকল্প উৎসের সন্ধানসহ জাতীয় পর্যায়ে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ।
আ স ম আবদুর রব বলেন, করোনার ভয়াল থাবায় ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে এসে পড়েছে। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর খাদ্যসংস্থান এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসন ব্যবস্থার আওতাধীন না করে কোনোভাবেই করোনা মোকাবিলা করার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। নিরন্ন মানুষকে সুরক্ষা বেষ্টনীর বাইরে রেখে অপরিকল্পিত লকডাউন, কঠোর লকডাউন বা সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা হবে নিষ্ঠুর এবং আত্মঘাতী।
করোনা মোকাবিলায় জেএসডির চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- করোনা মোকাবিলায় সমগ্র জাতিকে সম্পৃক্তকরণের প্রয়োজনে জাতীয় পর্যায়ের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা; জনস্বাস্থ্য বিশারদ, চিকিৎসক সংগঠন, পেশাজীবী সাংবাদিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, সমাজসেবী, এনজিও, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা ও সামরিকবাহিনীর প্রতিনিধিসহ করানোর সম্মুখযোদ্ধাদের নিয়ে করোনা জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা। দুর্নীতিমুক্ত দক্ষ স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ গঠন করা, বিদ্যমান স্থানীয় সরকার কাঠামোসমূহে জনগণের সব অংশের অর্থাৎ অংশীজন সমাজ শক্তি ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব সম্পৃক্ত করা এবং দুর্বল স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও ক্ষমতায়ন করা।
আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দানবের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে। বর্তমান ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে আমরা সবাই ব্যর্থ হয়েছি। গত ৫০ বছরে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে আমরা যা অর্জন করেছিলাম তার সবকিছু সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।
আলোচনায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্থানীয় সমস্যা স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করাই হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কাজ। আমাদের সংবিধানে স্থানীয় সরকার প্রশ্নে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা স্বাধীনতার পর কখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এইউএ/আরএইচ