‘আপসহীন নেত্রীর কর্মীরা আপসকামী হলে সরকার তো তাচ্ছিল্য করবেই’

নতুন বছরে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।
‘কত যে খবর আসে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে’ গানের উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, টিভিতে অনেক খবর দেখেন, পত্রিকার পাতায় অনেক খবর পড়েন। তারপরও শতভাগের একভাগ খবরও জনসম্মুখে আসে না।
মানববন্ধন-প্রতিবাদ করে মুক্তি হবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের লড়াই করতে হবে। আজ বিজয়ের মাসের শেষ দিন। যে বিজয় নিয়ে গর্ব করি সেই বিজয় কিন্তু লড়াই ছাড়া আসেনি। সংগ্রাম ও রক্ত ছাড়া হয়নি। সে কারণেই আমাদের জীবনযুদ্ধে মাঠে-ময়দানে ছোটাছুটি করতে হবে। তাছাড়া আমাদের পরিত্রাণ পাওয়ার অন্য কোনো পথ নেই।
বিএনপির সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে বলে উল্লেখ করে গয়েশ্বর আরও বলেন, ’বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও যুদ্ধ করেছেন। তিনি প্রথম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। নিজের কমান্ডারকে গুলি করে হত্যার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তারপর রাজপথে মশাল হাতে ঢাকার অলিতে-গলিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন খালেদা জিয়া। আর এ কারণেই তিনি আপসহীন নেত্রী। আপসহীন নেত্রীর কর্মীরা যদি আপসকামী হয়, তাহলে সরকার তো অবজ্ঞা-তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেই।’
তিনি বলেন, আসুন সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য একটু চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে সফলও হতে পারি, ব্যর্থও হতে পারি। কিন্তু চেষ্টা না করে সফলও হইলাম না ব্যর্থও হইলাম না। আর সবসময় ঈশ্বরের ওপর, আল্লাহর ওপরে ভরসা করলাম- আল্লাহ ছাড়া আর গতি নাই। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন- কাপুরুষ ও মূর্খরা অদৃষ্টের ওপরে নির্ভর করে। আর বীরেরা নিজেদের অদৃষ্ট নিজেরা গড়ে তোলে।
সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলী সপু প্রমুখ।
এএইচআর/টিএম