সব ইসলামি দল এক হয়ে নির্বাচনের ইঙ্গিত চরমোনাই পীরের

আগামি জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এক হয়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। চরমোনাই পীর বলেছেন, “ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে এবং এটি চলবে।”
গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ‘২৪-এর গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন’-এর পক্ষে জনমত গড়ার আহ্বানে সম্মেলন আয়োজন করেন। সেখানেই প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও আমরা সুফল ভোগ করতে পারিনি। এই লম্বা সময় ধরে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো তাদের অনেকেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুঠ করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে। দেশকে বিশ্বদরবারে বার বার চ্যাম্পিয়ন করার খেতাব অর্জন করিয়েছে।”
নগর সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা অর্থবহ করতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেডিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা দিলাওয়ার হোসাইন সাকী।
সম্মেলনে দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, “আমরা সোনার বাংলা দেখেছি, সবুজ বাংলা দেখেছি এবার আমরা ইসলামের বাংলা দেখতে চাই।”
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। ইসলামের বাংলা গড়তে হলে দায়িত্বশীল কর্মীদেরকে ত্যাগ এবং কোরবানির নজরানা পেশ করতে হবে।”
অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, “ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি নাই। ইসলামের সুফল গণমানুষের কর্ণকুহরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া মহল্লায় ইসলামের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে ব্যাপক জনমত গঠন করতে হবে।”
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “জুলাই বিপ্লবে অন্যতম শক্তি ছাত্র-জনতার সাথে বিএনপি বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়েছে। এগুলো আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। এতে করে নতুন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা দেখছি একটি দল বর্তমান সরকারের কাছে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান হয়নি।”
সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ভারতের উদ্দেশে বলেন, “প্রতিবেশী আছেন, প্রতিবেশি হয়ে থাকেন। এর বাইরে কিছু করতে চাইলে বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে না।”
জেইউ/এমটিআই