দেশে বুলডোজারের সংস্কৃতি চালু করেছে আওয়ামী লীগ : ডা. তাহের

বাংলাদেশে বুলডোজারের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বুলডোজার দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দলীয় কার্যালয় এমনকি কবর পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে। বালুর ট্রাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার সংস্কৃতিও এ দেশে আওয়ামী লীগ চালু করেছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে যাকাত ও ওশর শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরায় জামায়াত নেতাদের বাড়ি-ঘর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কর্তৃক রাষ্ট্রীয় মদদে ভাঙার কথা স্মরণ করে ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী জুলুমের শিকার হলেও আজ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা কারো ওপর জুলুম করেনি। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও কেউ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার হবে না।
আরও পড়ুন
সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি মানুষকে তার মতপ্রকাশের পাশাপাশি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। জামায়াতের নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র পাবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, যাকাত এবং উশর শুধু নয়, প্রত্যেক মুসলিমকে দ্বীন কায়েমের জন্য তার মাল ও জান কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যাকাত আদায় যেভাবে ফরজ। একই ভাবে দ্বীন কায়েম করাও ফরজ। দ্বীন কায়েমের জন্য অর্থ, সম্পদ, মেধা, ঘাম, শ্রম ও সময় দিতে হয় এবং হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
জেইউ/এমএ