‘ক্ষমতালোভী-অর্থ পাচারকারীরা ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে’

ক্ষমতালোভী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত না হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুব ও ক্রীড়া বিভাগের আয়োজনে ‘সিয়ামের চেতনায় যুব সমাজ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সম্পদের অভাব নাই। অভাব হচ্ছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিকতাসম্পন্ন আদর্শবান নেতৃত্বের। অযোগ্য, অদক্ষ, অসৎ আর নৈতিকতাহীন লোকদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যাওয়ার ফলে তারা যে যখন ক্ষমতায় বসেছে, সে তখন দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের মদদদাতা এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করার কাজ করেছে। একমাত্র জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিকতাসম্পন্ন নেতৃত্ব।
জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি বলেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনামলে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সেনাবাহিনীর জেনারেল জিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৯৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বাড়িতেই যদি ৯৩৫ কোটি টাকা থাকে, তাহলে কত হাজার কোটি টাকা সে দুর্নীতি করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারমতো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসায় অভিযান চালালে হাজার-হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক দায়িত্ব তালিকা করে এদের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি করে জমানো টাকাগুলো উদ্ধার করা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও যুব বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, রমাদান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নিয়ামত। আল্লাহ তার বান্দাকে মূলত জন্মাতে নিতে চান। সেজন্য রমজান মাসকে সুযোগ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আত্ম পরিশুদ্ধর জন্য রমাদান। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারার প্রশিক্ষণ হচ্ছে রমাদান। রমাদানের মাধ্যমে পাশবিকতা দমন এবং মানবিকতার উত্থান হয়।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণ করে মানবিক এবং দেশপ্রেমিক ক্রীড়াবিদদের দায়িত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক সংগঠন। এই সংগঠনের নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখা যায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যুুব ও ক্রীড়া বিভাগের সদস্যসচিব ড. মোবারক হোসাইনের পরিচালনায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ ইউসুফজী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন এবং ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, কারাতে ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি একরামুল হক, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ট্রেজারার ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
জেইউ/এমএ