শেখ মুজিবই প্রথম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে হত্যা করেন : স্বপন

শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে হত্যা করেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর জনগণের ক্ষমতায়ন যতটুকু অর্জিত হয়েছিল তাকে নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে তৎকালীন আওয়ামী সরকার। ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে অগণতান্ত্রিক চরিত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জেএসডি ১৯৭৪ সালের ১৭ই মার্চ ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক দিবস’ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
স্বপন বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কর্তৃক ঘোষিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে অতর্কিতে রক্ষীবাহিনী নির্বিচারে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং আহত অবস্থায় মেজর এম এ জলিল, আ স ম আবদুর রবসহ বহু কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে এবং গণকণ্ঠ পত্রিকা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৭২-৭৫ শাসনামলে ক্ষমতাসীন সরকার ক্রমশ হিংস্র রূপ ধারণ করতে থাকে। এসময়ে আওয়ামী সরকার হাজার হাজার জাসদ কর্মীকে হত্যা ও গুম করে এবং সিরাজ শিকদারের মতো রাজনৈতিক নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ক্ষমতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে দেশে অপশাসন ও একদলীয় বাকশালের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম ‘গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’কে হত্যা করেন।
আলোচনা সভার সভাপতি দলের সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব বলেন, আওয়ামী লীগের ডিএনএতে ফ্যাসিবাদ। সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগ তার হিংস্র স্বরূপে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ এখন প্রতিষ্ঠিত গণহত্যাকারী দল। সুতরাং এ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ রূপান্তরের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তার একমাত্র হুমকি আওয়ামী লীগ বলে দাবি করেন তানিয়া রব।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডির নেতা কে এম জাবির, এস এম আনোয়ার হোসেন, মাইনুর রহমান, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, আবদুল মান্নান মুন্সি প্রমুখ।
এএইচআর/এসএসএইচ