দলীয় সংবিধান মেনে দল গঠিত হলে গণতন্ত্রের পথ খুলবে

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলে কেন্দ্রীয় গুরুত্ব দিতে হবে। দলের ভেতরে শৃঙ্খলা, আইনকানুন, বিধিবিধান, দলীয় সংবিধান থাকতে হবে। সেই সংবিধান অনুযায়ী যদি দল গঠন করা যায়, দল গঠন করা হয়। কোনো একটা দলও যদি এটা করে তাহলে অন্য দলের উপরে প্রভাব পড়বে। এসবের মধ্য দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারি, সুযোগ আছে।
রোববার (১১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে সোনার বাংলা পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, মোটামুটি যেটুকু চরিত্র রক্ষা করে চলা দরকার সেটুকু রক্ষা করেই চলছি। একপক্ষ ক্ষমতায় থেকে অনেক অত্যাচার করছে, অনাচার করছে। আমরা তো এগুলো প্রতিরোধ করতে পারছি না। সেই কারণে আমাদের ওপরও অনেকটা দায়িত্ব আছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে আমরা যে অবস্থা দেখছি... এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটা কি বলা যাবে? অথবা আরও সময় বাড়িয়ে নিয়ে ১৯৪৭ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত পাকিস্তান আমলে এবং বাংলাদেশ আমলে প্রকৃতপক্ষে কী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল?
আরও পড়ুন
তার মতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অন্তত যদি ধারাবাহিকভাবে ২৫ বছর একটি পরম্পরায় ইলেকশনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়, তাহলে বলা যাবে যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকার গঠনের প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটা অপরিহার্য শর্ত, কিন্তু এর সঙ্গে অর্থনীতি, সংস্কৃতিসহ আরও কর্মসূচি যুক্ত রাখতে হবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। এসব না করে যা করা হচ্ছে সেটাকে আসলে রাজনীতি বলা যায় না। এটা রাজনীতির একটা বিকৃতি, একটা বিকার।
প্রবীণ এই অধ্যাপক বলেন, এগুলো অতিক্রম করে আমরা সামনে চলতে চাই। তার জন্য দলভিত্তিক আনুপাতিক সরকার গঠন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কি রকম হবে, এটা লিখিতভাবে প্রকাশ করলে ভালো। যদি কোনো বড় দল, এক দল এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করে, অন্য দল সেটা বিবেচনা করে তারাও এ ধারায় বক্তব্য নিয়ে সামনে আসবে।
আলোচনায় সোনার বাংলা পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এসএসএইচ