দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই: আমু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস রাখায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১৪দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সরকারের টানা যুগপূর্তি উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় আমির হোসেন আমু এ শুভেচ্ছা জানান। এক বার্তায় তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। বর্তমানে সারাদেশে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎপ্রকল্প, মাতার বাড়ি, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। এর ফলে পাল্টে যাবে দেশের অগ্রগতির দৃশ্যপট।
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আমু বলেন, করোনার মধ্যেও প্রতিটি ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। করোনা মোকাবিলায় যখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পর্যুদস্ত, তখন প্রাথমিকভাবে সীমিত স্বাস্থ্য উপকরণ নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ষাটের দশক থেকে দেশের মানুষ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা শুনে এলেও এ যুগে প্রবেশ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১০ সালে। পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে।
তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মতপার্থক্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই একে অবাস্তব বলে সমালোচনা করেছিল। সেই পদ্মাসেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে শুরু করেছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সব বাধা উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে পদ্মাসেতুর সবগুলো স্প্যান বসানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ১৪দলের মুখপাত্র আরও বলেন, উন্নত রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের মানুষও মেট্রোরেলে চড়বে, সেই স্বপ্নও পূরণ হওয়ার পথে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ও পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম শহর চীনের সাংহাই নদীর মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে গড়ে উঠবে। এসবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা , দেশপ্রেম আর সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের ফসল।
এইউএ/এসএম