লালমনিরহাট-৩ আসনের প্রার্থী বদলালো জামায়াত, নতুন প্রার্থী অ্যাড. তাহের

শেষ মুহূর্তে আরেকজন প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী রংপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশীদকে বসিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে লালমনিরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরকে।
সাবেক এই জনপ্রিয় ছাত্রনেতা দীর্ঘ ছয় বছর লালমনিরহাট ও রংপুর জেলা শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত জীবনে লালমনিরহাট জজ কোর্টের আইনজীবী তিনি।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা ও পৌরসভার দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম।
বৈঠকে জেলার কর্মপরিষদ সদস্যরা, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশরাফুল আলম সালেহী, লালমনিরহাট শহর জামায়াতের আমির মাওলানা জয়নাল আবেদীন ও সদর উপজেলা আমির মাওলানা মাহিবুর রহমানসহ লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা (পুরুষ ও নারী) এবং ছাত্র-শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী পরিবর্তনপূর্বক নতুন করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের আমির সাবেক ছাত্রশিবির নেতা অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের নাম ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশের প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বাংলাদেশ এখন জামায়াতে ইসলামীর কাজের জন্য উর্বর ক্ষেত্র। লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের জনসমৃদ্ধ এলাকা। আগামী সংসদ নির্বাচনে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজ ও দখলমুক্ত সর্বোপরি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি লালমনিরহাট জেলাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে তারুণ্যের প্রতীক অ্যাডভোকেট আবু তাহেরকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় বিজয়ী করার লক্ষ্যে নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার করার জন্য উপস্থিত দায়িত্বশীলদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, আসনটিতে হেভিওয়েট প্রার্থী আছে বিএনপির। দলটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। জোট সরকারের আমলে যোগাযোগ উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দুলু। তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ আবুল কাশেম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তিনি।
লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর অতীত রেকর্ড খুব আশাব্যঞ্জক নয়। নব্বই পরবর্তী সময়ে দুটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে দলটি। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোশারফ হোসেন খন্দকার। দুইবারই যথাক্রমে ৩৫০৫ ও ১৮২৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন বাংলাদেশের বৃহৎ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের এই প্রার্থী। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে জোটসঙ্গী বিএনপিকে এ আসনটি ছেড়ে দেয় জামায়াতে ইসলামী। জোটের প্রার্থী অধ্যক্ষ দুলুর হয়ে কাজ করে তারা। এবার তিনিই প্রতিপক্ষ।
জেইউ/বিআরইউ