দেশে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী চিত্র প্রকাশিত: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। একজন বর্তমান মেয়র আরেকজন সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন যে, সাবেক মেয়র দুর্নীতি করেছেন। ওই মেয়রের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে যে, আগে দুর্নীতি হয়েছে।’
রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা এখন আছেন, তারা কী করছেন তাও আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পারছি। সুতরাং, বর্তমানে দেশে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী যে চিত্র সেটাই বেরিয়ে এসছে।’
দুর্নীতি করতেই সরকার ভ্যাকসিন আমদানিতে ‘মধ্যস্বত্ত্বভোগী’ নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন না কিনে মধ্যস্বত্ত্বভোগী নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতির জন্যে। এর মাধ্যমে জনগণের অর্থ নয়-ছয় করে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকারি সুবিধাভোগী পদবিধারী মধ্যস্বত্ত্বভোগী নিয়োগ শুধু নীতিগতভাবেই নয়, আইনগতভাবেও অপরাধ। সরকারের লাভজনক পদে নিয়োগকৃত কোনো ব্যক্তি যিনি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা তার ভ্যাকসিন ক্রয় সম্পৃক্ততা বেআইনি ও অপরাধমূলক।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ভারত থেকে ভ্যাকসিন আসবে তার কোনো নিশ্চিয়তা আমরা পাইনি। কারণ ভারতের হাই কমিশনার বলেছেন, ভারতের চাহিদা মেটানো হবে তারপরে তারা নির্ধারণ করবেন। তাদের পররাষ্ট্র সচিবও একই কথা বলছেন। আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি যে, শ্রীলংকার সাথে তারা চুক্তি করেছেন আগে, তাই তাদেরকে আগে অগ্রাধিকার দেবে ভারত। পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে আবার প্রতারণার শিকার করা হচ্ছে।’
ভ্যাকসিন জীবন রক্ষার করার একটা বিষয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেই ভ্যাকসিন নিয়েও তারা দুর্নীতি করছে। পত্রপত্রিকায় তা দেখা যাচ্ছে। এই সরকার যে পুরোপুরিভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার এবং জনগণের প্রতি যে তাদের কোনো রকম দায়দায়িত্ব নেই, সেটাই এখানে প্রমাণিত হচ্ছে।’
এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের আশু রোগমুক্তির কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে বলে জানান মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ।
এএইচআর/এইচকে