গণতদন্ত কমিশন করে ১/১১-র কুশীলবদের বিচার দাবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ২০০৭ সালে নামধারী তত্ত্বাবধায়ক সরকার তথাকথিত সুশীল, তথাকথিত অর্থনীতিবিদসহ লোভী ব্যক্তিদের নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। তারা শেখ হাসিনাকে কারা অন্তরীণ করেছিল, কারণ তিনি নির্বাচন চেয়েছিলেন, গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। গণতদন্ত কমিশন করে, বিচার বিভাগীয় কমিশন করে সেই আদর্শহীন, লোভী, লুটেরাদের বিচার করতে হবে।
রোববার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তারা গণতন্ত্র অবরুদ্ধ করতে চেয়েছিল, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা রাজনীতিবিদদের রাজনীতি শেখাতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মাইনাস গণতন্ত্র, মাইনাস বঙ্গবন্ধু, মাইনাস মুক্তিযুদ্ধ, মাইনাস শেখ হাসিনা। হায়েনার মতো, লুটেরাদের মতো তারা দেশে অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৭ সালে নামধারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপশাসনের প্রতিবাদে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গর্জে উঠেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও সে সময়কার ছাত্রলীগকে আমি সালাম জানাই। সেদিন বিরাজনীতিকীকরণের জন্য আমাদের দলের কেউ কেউ জড়িত ছিল। সংস্কারের নামে গ্রেফতারের রাস্তা তৈরি করেছিল। লোভী, চক্রান্তকারী সেই রাজনীতিবিদদেরও চিনতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ দেশ ও রাজনীতির প্রাণশক্তি। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েরা করোনা মহামারির সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারাই গুজবের বিরুদ্ধে, মামুনুল হক গংদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। নিজের আদর্শের জায়গায় শক্ত থাকবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। তার নেতৃত্বেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এইউএ/আরএইচ