আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধ ফলপ্রসূ হয় না

আমলাতন্ত্র নির্ভর প্রশাসনিক হুকুমে মহামারি প্রতিরোধ ফলপ্রসূ হয় না বলে মন্তব্য করেছে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, কোভিড-১৯ একটি প্রবল সামাজিক সংক্রামক ব্যাধি। প্রথম থেকে মহামারি প্রতিরোধে সমাজের সব অংশকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও জন প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে করোনা থেকে উদ্ধার হওয়ার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ফজলে হোসেন বাদশা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরূল আহসান, আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, নুর আহমেদ বকুল, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, হাজি বশিরুল আলম, এনামুল হক এমরান ও পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন প্রমুখ।
বাদশা বলেন, আমরা বলেছিলাম ‘লকডাউন’ সফল করতে হলে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক শক্তি, সামাজিক শক্তিসহ সমাজের অপরাপর অংশকে যুক্ত করা প্রয়োজন। আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ, সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমলাতান্ত্রিক কারণেই এই দুর্যোগকালে এত অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হলো। যদিও এখন সরকারের তরফ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের জন প্রতিনিধিদের নিয়ে সামাজিক প্রতিরোধের কথা বলা হচ্ছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।
করোনা প্রতিরোধে সামাজিক উদ্যোগকে সম্পৃক্ত করতে হলে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, যাদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রয়েছে, তাদের নিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিলে সেটি ফলপ্রসূ হত।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে শোকাবহ ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের নিহত সব সদস্যদের প্রতি গভীর শোক জানানো হয়।
করোনা রোধে এখন টিকাই প্রধান বিকল্প বলে উল্লেখ করেন বাদশা। তিনি আরও বলেন, শুরু থেকেই আমারা বলে আসছি করোনা প্রতিরোধে জনগণের সব অংশকে টিকা দেওয়া এবং মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি পালন জরুরি। এজন্য সরকারের কাছে টিকা কর্মসূচির একটি রোডম্যাপ দাবি করেছিলাম।
করোনা মোকাবিলা এবং জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ওয়ার্কার্স পার্টি ১৮ দফার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেন বাদশা। তিনি বলেন, মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি, দশ হাজার হাত ধোয়ার সাবান বিতরণ, বিভিন্ন জেলায় করোনা প্রতিরোধে ব্রিগেড গঠন ও বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে।
এএইচআর/এমএইচএস