‘কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থাকলে কাদের মির্জা কথা বলতে পারতেন না’

আওয়ামী লীগে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থাকলে দলের সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই কথা বলতে পারতেন না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক দলের রাজনীতি চর্চার পরিবেশ নেই- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলব, তিনি যে দল করেন, সেই দলের যে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি আছে, আগে সেটি নিয়ে একটু কথা বলুক। যে দেশে নেই, একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরেকজন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি, সাত সমুদ্রের ওপার থেকে যেটি বলে সেটিই হয় এবং সেভাবেই তাদের দলের সিদ্ধান্ত হয়।
কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি তাদের দলেই আছে, আমাদের দলে নেই। আমাদের দলে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থাকলে কাদের মির্জা কথা বলতে পারতেন না এবং বললে ব্যবস্থা নেওয়া হত, কিন্তু হয়নি। অথচ তাদের দলের মেজর হাফিজ তাদের একটু সমালোচনা করেছেন সেজন্য তাকে যেই ভাষায় শোকজ করা হয়েছে, সেই দলের মহাসচিবের এই রাজনীতির কথা বলার নৈতিক অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। এটি যে খুব ব্যাপক তা নয়। তবে যারা দলে থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখনও নেওয়া হবে।
আর যারা দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দলীয় পদবি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এখনও দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আলাপ-আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পৌরসভার প্রথম ধাপে বিএনপি দুটিতে এবং দ্বিতীয় ধাপে চারটিতে জয়লাভ করেছে। অনেক জায়গায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে আমাদের বিজয়ী প্রার্থীর তুলনায় বিএনপি আসন সংখ্যা কম পেয়েছে, সে অনুযায়ী বলাই যায় আমাদের সংগঠন অত্যন্ত মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং ব্যাপক জনসমর্থন আছে।
ভোটের হিসাব নেওয়া হলেও দেখা গেছে, নৌকায় ব্যাপক ভোট পড়েছে, যার সঙ্গে বিএনপির ভোটের কোনো তুলনা হয় না বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এসএইচআর/জেডএস