‘টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা কলেরগান বাজাচ্ছে বিএনপি’

টিকা আসার আগেই বিএনপি লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলেরগান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
কাদের বলেন, করোনা টিকা নিয়ে বিএনপি আবারও অপপ্রচার শুরু করেছে। জনকল্যাণে নিবেদিত সরকারের যেকোনো প্রশংসনীয় উদ্যোগকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা তাদের অপরাজনীতির অংশ। তারা টিকা আসার আগেই লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের কলেরগান অবিরাম বাজিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, বিএনপি নামক গুজব পার্টির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিকা সংগ্রহ ও টিকা দেওয়ার কাজ স্বচ্ছতা এবং সফলতার সঙ্গে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিক্রিয়াশীলতা এখন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রের অংশ। ধর্মের দোহাই ও সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। বিএনপি বিপদে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনার তীর ছুঁড়ছে। প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যা আওয়ামী লীগের গত সাত দশকের ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রো-অ্যাকটিভ নয়, তাদের রাজনীতি হচ্ছে রি-অ্যাকটিভ। বিএনপি নেতারা চারিদিকে শুধু ধ্বংস দেখতে পায়, তারা সরকারের কোনো উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না। আসলে তাদের সৃষ্টিশীলতাকে গ্রাস করেছে দুর্ভেদ্য নেতিবাচকতা। কারণ বিএনপির দৃষ্টিশক্তিতে এখন শীতের ঘনকুয়াশা জমেছে।
কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন কুয়াশাচ্ছন্ন। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোতো দূরের কথা, তারা নিজেরাই শীতে কাতর। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে জুলুম আর লুটপাটতন্ত্র।
পৌরনির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচন সামনে। যারা নৌকার বিপক্ষে গিয়ে বিদ্রোহ করবে এবং জনপ্রতিনিধি বিদ্রোহে উসকানি দেবে তাদের ভবিষ্যতে মনোনয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ দলীয় পদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলন করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পকেট কমিটি কোনোভাবেই করা যাবে না, দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে।
পরে অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের নেতারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ।
এইউএ/জেডএস