ভবিষ্যতে নির্বাচনের আর সম্ভাবনা দেখছেন না আমীর খসরু

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়া সামনে আর কোনো নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘সামনের সিটি নির্বাচন ছাড়া, জানিনা বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে কি-না? বাংলাদেশের মানুষ আর নির্বাচন গ্রহণ করবে কি-না? চট্টগ্রামের নির্বাচনটি লক্ষ্য করুন, এ নির্বাচনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বানচাল করার জন্য আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। গত দুই-তিনদিন ধরে পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কালুরঘাট পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। ২০-৩০ জনের গ্রুপ নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করছে, আর বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি কাউন্সিলর প্রার্থীকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে।
তিনি বলেন, যেখানে নেতাকর্মীরা অনুপস্থিত, সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবারকে হেনস্থা করছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ জনগণের সুরক্ষা করা, জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। সেটি না করে তারা নির্বাচনী কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে না পারে , সেজন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তারা।
‘আগামী যে কয়দিন আছে, সেইদিনগুলো কীভাবে কাটবে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। গতকালকেও নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের ক্যাম্প তারা ভেঙে ইস্যু তৈরি করে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করেছে’ যোগ করেন খসরু।
তিনি বলেন, তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যাতে মানুষ নির্বাচনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলেও তাদের নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় যাতে পুরো নির্বাচন চলে, সেই ব্যবস্থা আয়োজন করছে। এ নির্বাচনের-তো কোনো প্রয়োজন নেই।
সাংবাদিকরা কেরানীর কাজ করছে
আমীর খসরু বলেন, অনেক সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। অনেককে পালানোর ব্যবস্থা করছে এ সরকার। অনেকের চাকরি চলে গেছে। কারণ তারা চায় না, মিডিয়া ভালোভাবে কাজ করুক। তারা মিডিয়াকে সহ্য করতে পারে না। যারা তাদের পক্ষে কাজ করবে, শুধু তাদের দেশে থাকার ব্যবস্থা করছে। অন্যদের তারা চায় না।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনারা লিখেন, সত্য তুলে ধরেন। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আপনারাও আক্রান্ত হবেন। অনেক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন। আমার পরিচিত অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যারা দেশে সাংবাদিকতা করছে, তারা নির্দেশিত ম্যানেজারের কাজ করছে। তারা কেরানির কাজ করছে। কারণ সঠিক সাংবাদিকতা করতে দিচ্ছে না-তো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম/এসএম